দাওয়াত না পাওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০


বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সভায় দাওয়াত না পাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ৫ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়ন দিবস’ উপলক্ষে গৌরনদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র্যালি ও আলোচনা সভার প্রস্তুতি সভা আহ্বান করা হয়। রোববার বেলা ১১টার দিকে বাসস্ট্যান্ডের একটি অডিটরিয়ামে প্রস্তুতি সভা শুরু হয়।

এ সময় সভায় দাওয়াত না পাওয়া নিয়ে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু ও পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন রাজা সদস্যসচিব জহীর সাজ্জাত হান্নানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে বদিউজ্জামান মিন্টুপন্থী ছাত্রদল কর্মী রমজান হোসেনসহ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বদিউজ্জামান মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘সভায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির দায়িত্বশীল অনেককে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। দাওয়াত না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সদস্যসচিব ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়। পরে তাদের সমর্থকেরা আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’
অন্যদিকে জহীর সাজ্জাত হান্নানপন্থী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জসিম শরীফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মিন্টুর সমর্থকেরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়েছে।’
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’