নাঙ্গলকোটে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৪


কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরুর ঘাস খাওয়া এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীয়ারা গ্রামে ছালেহ আহম্মদ ও আবুল খায়ের গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়িঘরে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
আহতদের মধ্যে শরিফা বেগম (৬০), সুফিয়া বেগম (৫০), হোসনেয়ারা বেগম (৫৫) ও ওসমান (১৬) গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে জাফর আহম্মদের দোকানের সামনে প্রথম দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়, যা বেলা ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলতে থাকে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৩ জুলাই একটি গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। হামলা, মামলা ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেখ ফরিদ নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে উত্তেজনা চূড়ায় ওঠে।
আহত আবুল কাশেম বলেন, ‘ছালেহ আহম্মদের ছেলে নূরউদ্দিন, রিয়াদ ও দুলাল আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।’
অন্যদিকে ছালেহ গোষ্ঠীর রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘আবুল খায়েরের লোকজন আমাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে।’
এ ঘটনায় চারটি থানায় এবং একটি আদালতে মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’