শিরোনাম
শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিতের আদেশ আদালতেরঅটোরিকশায় চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু‘বিচারপতি খায়রুলকে হাতকড়া পরানো মানে পুরো বিচার বিভাগকে হাতকড়া পরানো’মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকবিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা অনুমোদনগৃহহীনদের উচ্ছেদে নাছোড়বান্দা ট্রাম্প, ন্যাশনাল গার্ড–এফবিআই নামাচ্ছেন সড়কেসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছাবে মডেল মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টাজোটবদ্ধ নির্বাচনেও থাকবে দলীয় প্রতীক৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে চীনের লেসো গ্রুপ, সাড়ে ১২ একর জমি হস্তান্তরআরও ৪৮৮ কোটি বিনিয়োগ করবে চীনা খাইশি গ্রুপ

অনিল আম্বানির নিয়ন্ত্রণাধীন ৩৫ স্থাপনায় ইডির হানা

অনিল আম্বানির নিয়ন্ত্রণাধীন ৩৫ স্থাপনায় ইডির হানা

ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কোটিপতি অনিল আম্বানির সম্পর্কযুক্ত একাধিক জায়গায় সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মূলত অর্থপাচার এবং ঋণ জালিয়াতির অভিযোগেই এই অভিযান শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিল্লি ও মুম্বাইয়ের অন্তত ৩৫টি স্থানে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই, যেখানে অনিল আম্বানির মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলাগুলোর ভিত্তিতেই ইডি বর্তমানে অভিযান পরিচালনা করছে।

ইডি জানায়, রিলায়েন্স অনিল আম্বানি গ্রুপ (আরএএজেএ) -এর অন্তর্গত ৫০ টিরও বেশি কোম্পানির নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং ২৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ইডির প্রাথমিক তদন্তে ‘ব্যাংক, শেয়ারহোল্ডার, বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতারণা করে জনসাধারণের অর্থ আত্মসাতের জন্য একটি সুপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা’ উঠে এসেছে।

তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক লিমিটেড আরএএজেএ গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩ হাজার কোটি রুপির ঋণ দেয়। তবে অভিযোগ হলো—এই ঋণের পেছনে ছিল অবৈধ কৌশল ও ঘুষ লেনদেন। ইয়েস ব্যাংকের তৎকালীন প্রমোটাররা নাকি নিজেদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে টাকা পেয়ে এরপর আরএএজেএ কোম্পানিগুলোকে ঋণ মঞ্জুর করেন।

ইডির মতে, এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল—দুর্বল বা যাচাই না করা আর্থিক অবস্থার কোম্পানিকে ঋণ প্রদান, একই পরিচালক ও ঠিকানার একাধিক কোম্পানি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই ঋণ অনুমোদন, ‘লোন এভারগ্রিনিং’ অর্থাৎ পুরোনো ঋণ শোধ করতে নতুন ঋণ।

তদন্তকারীদের ধারণা, ইয়েস ব্যাংকের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রমোটার এই প্রতারণার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা ব্যক্তিগতভাবে অর্থ বা সুবিধা পেয়েছেন বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

ইডিকে তথ্য দিয়েছে ভারতের জাতীয় আবাসন ব্যাংক (এনএইচবি), শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এসইবিআই), ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি (এনএফআরএ), ও ব্যাংক অব বরোদা।

এক প্রতিবেদনে এসইবিআই জানিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স লিমিটেড (আরএইচএফএল) এ বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট ঋণ পোর্টফোলিও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যেখানে ছিল ৩ হাজার ৭৪২ কোটি রুপি, তা ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৬৭০ কোটি রুপিতে।

এদিকে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই), রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস এবং অনিল আম্বানিকে ‘প্রতারক’ হিসাব হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এর আগেও ২০২০ সালের নভেম্বরে এসবিআই একই অভিযোগে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস ও অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে সিবিআইয়ে অভিযোগ দায়ের করে। যদিও দিল্লি হাইকোর্ট ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ‘স্ট্যাটাস কু’ আদেশ দিলে অভিযোগটি প্রত্যাহার করা হয়।

তবে এবার আবারও নতুন তথ্যের ভিত্তিতে কার্যত পুরো গ্রুপের বিরুদ্ধেই বড়সড় আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। তদন্ত চলছে বলেই ইডি জানিয়েছে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button