শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিতের আদেশ আদালতের


ত্রুটিযুক্ত ভোটার তালিকা সংশোধন না করা পর্যন্ত শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ২২ আগস্ট এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে শেরপুর সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ তাহমিনা আফরোজ তানি এই রায় দেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহাম্মেদ সিদ্দিকী বাবুর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে মামলাটি দায়েরের পর শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য রাখেন আদালত। নির্বাচন স্থগিতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী বিএনপি নেতা মো. আখতারুজ্জামান।
জানা গেছে, শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনের জন্য প্রকাশিত ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটারসহ একই নামে একাধিক ভোটার রয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে মামলা করে বাদীপক্ষ। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ত্রুটিযুক্ত ভোটার তালিকা ঠিক করা না পর্যন্ত ওই নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দেন। একই সঙ্গে চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, চেম্বার সচিব হারুন-অর-রশিদ, শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহবুবুল আলম রকীব ও বাছাই কমিটির আহ্বায়ক এম কে মুরাদুজ্জামানকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
মামলাটির বাদীপক্ষে আইনজীবী আখতারুজ্জামান ছাড়াও শুনানিতে সহযোগিতায় ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম, বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আশরাফুন্নাহার রুবি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নেতা ছামিউল ইসলাম আতাহার।
দীর্ঘদিন পর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ, সহযোগী ও ট্রেড গ্রুপে পরিচালক পদে মনোনয়ন দাখিল, বাছাই ও প্রত্যাহার অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ট্রেড গ্রুপে দুজন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২২ আগস্ট ৩৪ জন প্রার্থীর পরিচালক পদে ভোটে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ঘোষিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ট্রেড গ্রুপে ২৭ জন, সাধারণ গ্রুপে ১ হাজার ৩৪৯ জন ও সহযোগী গ্রুপে ৮৭৫ জন ভোটার রয়েছেন।
ক্রাইম জোন ২৪