শিরোনাম

ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, জাপানে ৪৭০টির বেশি কম্পন

ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, জাপানে ৪৭০টির বেশি কম্পন

দক্ষিণ ফিলিপাইনের উপকূলে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থা এএফপি মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)-এর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।

আজ শনিবার সকালের দিকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০১ কিলোমিটার গভীরে, যা দাভাও অক্সিডেন্টাল প্রদেশ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে।

সারংগানি দ্বীপের একজন প্রাদেশিক উদ্ধারকর্মী মারলাভিন ফুয়েন্তেস এএফপিকে জানান, কম্পন খুব বেশি শক্তিশালী ছিল না, তবে অফিসের টেবিল এবং কম্পিউটার প্রায় পাঁচ সেকেন্ড ধরে কেঁপেছিল।

এই ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় সেখানে প্রায় প্রতিদিনই ভূমিকম্প হয়। এই অঞ্চলটি জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি তীব্র ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা।

এর আগে গত ২৪ জুন দক্ষিণ ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এই সময়ও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। সেদিনের ভূমিকম্পটি দাভাও দ্বীপের প্রায় ৩৭৪ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হেনেছিল।

এএফপি জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে একটি প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জে ৪৭০ টিরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। জাপানের সাত-পয়েন্ট ভূমিকম্প তীব্রতা স্কেলে অন্তত এক মাত্রার এই ভূমিকম্পগুলোর কারণে কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই মাত্রার ভূমিকম্প সাধারণত শান্তভাবে বসে থাকা মানুষও সাধারণত টের পান না।

জাপান আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, ভূমিকম্প বেড়েছে। যেহেতু এই অঞ্চলে অতীতে দীর্ঘ সময় ধরে ভূমিকম্প দেখা গেছে, তাই শক্তিশালী কম্পনের কারণ হতে পারে এমন ভূমিকম্পের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ ফিলিপাইনের মতো জাপানও বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ। দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এর পশ্চিমাঞ্চলে চারটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button