ট্রাম্পের ঘোষণার পরও অনিশ্চিত যুদ্ধবিরতি, ইরাকের ৪ ঘাঁটিতে হামলা


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইরান এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ইসরায়েলের তরফ থেকেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে, ট্রাম্পের ঘোষণার পরও ইরাকে অবস্থিত চারটি সেনাঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। কারা হামলা করেছে, এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘তবে, যদি ইসরায়েলি রেজিম আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ আগ্রাসন স্থানীয় সময় ভোর ৪টার মধ্যে বন্ধ করে, তাহলে আমাদের আর পাল্টা প্রতিক্রিয়া চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই।’
আরাঘচি আরও জানান, ‘আমাদের সামরিক অভিযান বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।’ আরাঘচি পরে এক্সের আরেকটি বিবৃতি দেন। তিনি জানান, ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ইরানের সামরিক অভিযান শেষ মুহূর্ত, অর্থাৎ ভোর ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
তিনি বলেন, ‘সব ইরানির সঙ্গে আমিও আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, যারা দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল এবং শত্রুর যেকোনো হামলার জবাব দিয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।’
এদিকে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে তাজি সামরিক ঘাঁটিতে একটি অজ্ঞাত ড্রোন হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে ইরাকের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইএনএ। এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এতে কোনো হতাহত হয়নি। এর আগে, ড্রপ সাইট নামের অনুসন্ধানমূলক সংবাদমাধ্যম এক্সে ওই ড্রোন হামলার দৃশ্যের ভিডিও প্রকাশ করে। এতে তাজি ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা ভিক্টরি বেস কমপ্লেক্সে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সামরিক ঘাঁটি ছিল। ইরাকের বালাদ সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুর্দিস্তান ২৪ চ্যানেল। চ্যানেলটির বাগদাদ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইরাকের রাজধানী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে সালাহউদ্দিন প্রদেশের এই ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তাসনিমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালাদ ঘাঁটির ভেতর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এই ঘাঁটি আগে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি ছিল। এ ছাড়া, বাগদাদভিত্তিক আল-সুমারিয়া টেলিভিশন জানিয়েছে, ইরাকের ইমাম আলি ঘাঁটির রাডার সিস্টেমে হামলা হয়েছে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। ইমাম আলি ঘাঁটি ইরাকের ধি কার প্রদেশে অবস্থিত। এটি প্রদেশের রাজধানী নাসিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।