মোহনগঞ্জে পৌরকর্মীর বিরুদ্ধে ওয়ারিশান সনদ আটকে রাখার অভিযোগ


নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভার এক কর্মীর বিরুদ্ধে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওয়ারিশান সনদ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা শাহরিয়ার ইমান রাতুল অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালে পৌরসভার নিম্নমান সহকারী সেলিনা আক্তারের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং বর্তমানে সে বিষয়ে একটি মামলা চলমান। এরপর থেকেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সেলিনা তাঁর ওয়ারিশান সনদ ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখেছেন।
রাতুল জানান, তিনি ৯ মে সনদপত্রের জন্য আবেদন করলেও দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তা পাননি। এতে জমি খরিজসংক্রান্ত কাজে বিপাকে পড়েছেন তিনি। বিষয়টি জানাতে তিনি গত ৪ জুন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালে নিজের বাড়ির সামনে একটি মার্কেট নির্মাণের অনুমতির জন্য আবেদন করলেও সেটিও অনুমোদিত হয়নি। তাঁর দাবি, সেলিনা পৌরসভার প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক তাঁকে হয়রানি করে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সেলিনা আক্তার বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনো আবেদন আসেনি। হয়তো অফিসের অন্য কেউ নিয়েছেন। আমি কাউকে হয়রানি করিনি, অভিযোগটি মিথ্যা।’
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তা অফিশিয়াল কাজে প্রভাব ফেলানো অনুচিত। নাগরিক অধিকার খর্ব করার সুযোগ নেই। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’