রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঘটনায় সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক সংযোগ নেই: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়


সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঘটনা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে কোনো সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক সংযোগ নেই বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে আজ শুক্রবার (১৩ জুন) তারা এ কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কাছারিবাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে যথারীতি প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে কাছারিবাড়ি খুলে দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কোনো নিদর্শন নষ্ট হয়নি। এই আক্রমণের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বাইরে কোনো সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মান বা মর্যাদাহানিকর কিছু ঘটেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ৮ জুন শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির দায়িত্বরত কর্মচারী ও একজন দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি ও কথা-কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহনেওয়াজ নামের এক দর্শনার্থীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগও পাওয়া যায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তদন্ত চলাকালে ১০ জুন শাহনেওয়াজের পক্ষে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন করে।
যেখান থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান ও অন্য দায়ী কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন থেকে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়িতে প্রবেশ করে কাছারিবাড়ির কর্মচারীদের মারধর করার উদ্দেশ্যে। সেই সময় রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী আহত হন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ হতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে, যে মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।