শিরোনাম
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১৫ বছর ধরে ‘চিফ মাউজারের’ দায়িত্ব পালন করছে যে বিড়ালসাকিব-নারাইনদের ছাপিয়ে নিজেকেই সেরা মানছেন রশিদ খান৬ পদে নিয়োগে ৪০ লাখ টাকার বাণিজ্যতারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল, সাধারণ সম্পাদক শিপুস্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বন্ধহাত-পা বাঁধা অবস্থায় বৃদ্ধ উদ্ধার, স্ত্রী-সন্তানেরা আটকনদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কারামতিয়া কাজীরহাট সড়কসাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা, একজন গ্রেপ্তার১০ কর্মী নেবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়জাতীয় দলের ফিটনেস টেস্টে কেন নেই লিটন-হৃদয়

ইতিহাস ডাকছে বাংলাদেশের মেয়েদের

ইতিহাস ডাকছে বাংলাদেশের মেয়েদের

লাওসে যাওয়ার আগে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়াকে কি হারানো সম্ভব? বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলারের উত্তর ছিল এমন, ‘কাগজে-কলমে হয়তো না, তবে ফুটবলে যেকোনো কিছুই সম্ভব।’

অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পেরোনোর অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি বাংলাদেশের। এবার স্বপ্নের পালে লেগেছে জোর হাওয়া। মাসখানেক আগেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয় জাতীয় নারী ফুটবল দল। হাতছানি দিচ্ছে আরও একটি ইতিহাস। যেখানে সবচেয়ে বড় বাধা দক্ষিণ কোরিয়া।

বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে আজ বেলা ৩টায় লাওসের জাতীয় স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে আছেন আফঈদা-সাগরিকারা। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে উড়িয়ে দেয় ৮-০ গোলে।

দুই ম্যাচ মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়েছে ১১ গোল। সমান ৬ পয়েন্ট পাওয়ার পরও তাই টেবিলের দুইয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রতিপক্ষের জালে তারা বল ফেলেছে ১০ বার। বাংলাদেশের কাছে সমীকরণটা তুলনামূলক সহজই বলা যায়। ড্র করলেই মিলবে মূলপর্বের টিকিট। মুখোমুখি গোল করার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন দক্ষিণ কোরিয়া, তখন কটি গোল হজম করতে হবে, সে চিন্তা সবার আগে মাথায় আসে। এশিয়া কাপের সবকটি আসরেই খেলেছে তারা। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুবার।

স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তায় থাকবে বাংলাদেশ দল। গতকাল লাওস থেকে সহকারী কোচ মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া যদিও অনেক শক্তিশালী দল। আশা করছি, ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।’

বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণার নাম হতে পারে লাওস। স্বাগতিকেরা অঘটন ঘটিয়েই ফেলেছিল প্রায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বৃথা যায় তাদের লড়াই। তবু দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দলকে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত গোলবঞ্চিত রাখাটা চাট্টিখানি কথা নয়।

বাংলাদেশ কি সেভাবে আটকে রাখতে পারবে দক্ষিণ কোরিয়াকে? লাওসের মতো খেলতে হলে বাংলাদেশ কোচকে বদলাতে হবে কৌশল। ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ থেকে শুরু করে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে হাইলাইন ডিফেন্স খেলিয়েছেন বাটলার। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে একই ছকে খেললে তা বড্ড ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

শেষ পর্যন্ত বাটলার কেমন কৌশল সাজান সেটা খেলার দিনই দেখা যাবে। আপাতত মেয়েদের প্রতি তাঁর একটাই বার্তা, ‘গোলের খোঁজে যেও না। সুযোগ তৈরি করো, ধৈর্য ধরো, গোল এমনিতেই এসে যাবে। সবকিছু এখন আমাদের হাতে।’

পূর্ব তিমুরকে হারানোর পর বাটলার বলেছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ফল যেমনই হোক, মাঠ ছাড়তে চান মাথা উঁচু করে। কোরিয়ার কাছে হারলেও বাংলাদেশের সুযোগ থাকবে মূলপর্বে খেলার। সে ক্ষেত্রে হারার ব্যবধানটা যত কম রাখা যায়, তত ভালো।বাছাই থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা ছাড়াও সেরা ৩ রানার্সআপ দল জায়গা করে নেবে আগামী এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মূলপর্বে।

আট গ্রুপের সব দলই খেলে ফেলেছে দুটি করে ম্যাচ। শেষ ম্যাচের আগে সেরা তিন রানার্সআপের দৌড়ে গোল গড়ে এগিয়ে আছে জর্ডান (১১), দক্ষিণ কোরিয়া (১০) ও চায়নিজ তাইপে (৭)। ৩ দলেরই পয়েন্ট ৬ করে।

জর্ডানের খেলা কাল গ্রুপের শীর্ষে থাকা উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। চায়নিজ তাইপে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার। তেমন কোনো অঘটন না ঘটলে নিজেদের গ্রুপে রানার্সআপ হতে যাচ্ছে তারা। তাতে কমবে গোল গড়ও। বাংলাদেশ কম (১ বা ২ গোলের) ব্যবধানে হারলে তাই রানার্সআপ হলেও থাকছে ইতিহাস গড়ার সম্ভাবনা।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button