শিরোনাম
১৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বাউফলের যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তারব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১৫ বছর ধরে ‘চিফ মাউজারের’ দায়িত্ব পালন করছে যে বিড়ালসাকিব-নারাইনদের ছাপিয়ে নিজেকেই সেরা মানছেন রশিদ খান৬ পদে নিয়োগে ৪০ লাখ টাকার বাণিজ্যতারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল, সাধারণ সম্পাদক শিপুস্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বন্ধহাত-পা বাঁধা অবস্থায় বৃদ্ধ উদ্ধার, স্ত্রী-সন্তানেরা আটকনদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কারামতিয়া কাজীরহাট সড়কসাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা, একজন গ্রেপ্তার১০ কর্মী নেবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়

ফিলিস্তিনিদের ফোনালাপ ক্লাউডে সংরক্ষণ করছে ইসরায়েল, তদন্তে মাইক্রোসফট

ফিলিস্তিনিদের ফোনালাপ ক্লাউডে সংরক্ষণ করছে ইসরায়েল, তদন্তে মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফট তাদের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম আজ্যুরের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে। কারণ, অভিযোগ উঠেছে, এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ফোনালাপ সংরক্ষণ করছে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ইউনিট ৮২০০’।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান, ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি প্রকাশনা +৯৭২ ম্যাগাজিন এবং হিব্রু ভাষার আউটলেট লোকাল কলের যৌথ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আজ্যুরের একটি বিশেষায়িত ও পৃথক করা অংশ ব্যবহার করছে ইউনিট ৮২০০, যেখানে প্রতিদিন গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে সংগ্রহ করা লাখ লাখ ফোনকলের রেকর্ডিং সংরক্ষিত হচ্ছে।

এই অনুসন্ধানের প্রতিবেদন প্রকাশের পর মাইক্রোসফটের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষ নির্বাহীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁরা এখন অনুসন্ধান করছেন, ইউনিট ৮২০০ ঠিক কী ধরনের তথ্য আজ্যুরে সংরক্ষণ করছে এবং কীভাবে তা ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে, গাজায় বোমা হামলার লক্ষ্য নির্ধারণে কাজে লাগানো হচ্ছে কি না এই তথ্যগুলো।

মাইক্রোসফটের একাধিক সূত্র গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোম্পানির সম্পর্ক নিয়ে এর আগে পরিচালিত অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় বলা হয়েছিল, আজ্যুর ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ওই পর্যালোচনার ভিত্তি ছিল ইসরায়েলভিত্তিক কর্মীদের দেওয়া তথ্য। তবে সেই তথ্যের ‍সত্যতা নিয়ে এখন সন্দেহ করা হচ্ছে।

মাইক্রোসফটের ফাঁস হওয়া কিছু নথি গার্ডিয়ানের হাতে এসেছে। সেই নথিতে দেখা গেছে, ইউনিট ৮২০০-এর সঙ্গে কাজ করা একাধিক মাইক্রোসফটকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগেই জানিয়েছেন, তাঁরা ইউনিট ৮২০০-তে কাজ করেছেন বা এখনো রিজার্ভ সেনাসদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।

নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইউনিট ৮২০০ যখন আজ্যুরে তাদের বড় পরিসরের সংবেদনশীল তথ্য সংরক্ষণের পরিকল্পনা করে, তখন মাইক্রোসফটের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তবে মাইক্রোসফট দাবি করছে, তারা জানত না যে ইউনিট ৮২০০ ফিলিস্তিনিদের ফোনালাপ সংরক্ষণ করছে।

মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এসব অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি, যেমনটা আগের তদন্তে করেছিলাম। নতুন কোনো তথ্য পেলে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ‘আমরা আমাদের সাইবার নিরাপত্তা রক্ষায় মাইক্রোসফটের সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানাই। মাইক্রোসফট আমাদের সঙ্গে কোনো তথ্য সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াজাতকরণে কাজ করছে না।’

তবে মাইক্রোসফটের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, এই বিবৃতিতে কোম্পানির শীর্ষ মহলে বিস্ময় তৈরি হয়েছে। কারণ, এটি গোপন নয় যে মাইক্রোসফট ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ক্লাউডসেবা দিচ্ছে।

এদিকে ‘নো আজ্যুরে ফর অ্যাপারথেইড’ নামের এক কর্মীর উদ্যোগ মাইক্রোসফটের কাছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছে।

এই সংগঠনের সংগঠক আবদো মোহাম্মদকে গত বছর মাইক্রোসফট থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। আবদো বলেন, ‘মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা ও অন্য নির্বাহীরা দাবি করেন, তাঁরা জানতেন না যে তাঁদের কোম্পানি ইসরায়েলি শাসনের সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুনাফা করছে। অথচ ২০২১ সালে তাঁরাই এই অংশীদারত্বে সম্মতি দিয়েছিলেন।’

যদিও মাইক্রোসফট এই ইস্যুতে কার্যক্রম শুরু করেছে, এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্ত শুরু করা হয়নি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button