গুজরাটে শিশু নরবলি, অভিযুক্ত গ্রেফতার


ক্রাইম জোন ২৪।। ভারতের গুজরাটে পাঁচ বছর বয়সি এক মেয়ে শিশুকে অপহরণের পর নরবলি দিয়ে মন্দিরে রক্ত উৎসর্গের অভিযোগে লালা তাদভি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় সোমবার (১০ মার্চ) গুজরাটের ছোটোদেপুর জেলার পানেজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে শিশুটিকে অপহরণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর তার রক্ত মন্দিরের সিঁড়িতে উৎসর্গ করেন অভিযুক্ত।
গ্রামবাসীরা মন্দিরের সিঁড়িতে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে মন্দির থেকে কিছু দূরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং ঘটনাস্থলের কাছেই রক্তমাখা অস্ত্রসহ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গৌরব আগরওয়াল স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত লালা তাদভি শিশুটিকে তার মায়ের সামনেই অপহরণ করেন। পরে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কুড়াল দিয়ে গলায় আঘাত করে শিশুটিকে হত্যা করেন।
এরপর শিশুটির রক্ত সংগ্রহ করে নিজের বাড়ির পাশের মন্দিরে উৎসর্গ করেন। এ ঘটনা দেখে গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যান, তবে ততক্ষণে কিছু করার ছিল না। অভিযুক্তের হাতে কুড়াল থাকায় তারা সরাসরি বাধা দিতে পারেননি। পরে পুলিশে খবর দিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, লালা তাদভি কোনো জাদুবিদ্যার অনুসারী কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তার আচরণ মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখাচ্ছে। হত্যার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুন ও অপহরণের অভিযোগে লালা তাদভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।