ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকিতে উদ্বিগ্ন ভারত


ভারত সম্প্রতি আমদানি শুল্ক হ্রাস করলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির কারণে দেশটি উদ্বেগে রয়েছে। গত সপ্তাহে ভারত হেভিওয়েট মোটরসাইকেলের শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ এবং ছোট মোটরসাইকেলের শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হার্লে ডেভিডসনের মতো আমেরিকান ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বাজার সহজ করতে ভারত এই পদক্ষেপ নিলেও ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্য নীতির কারণে শুল্ক সংক্রান্ত নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প বাণিজ্য নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে কানাডা ও মেক্সিকোর মতো ঘনিষ্ঠ দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা ভারতের জন্যও উদ্বেগজনক হতে পারে।
বিশ্লেষক অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, “যদি ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, তাহলে ভারতও ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।”
এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি অস্ত্র ক্রয়ের জন্য চাপ দিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারত ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১৯০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছিল। তবে ট্রাম্প অতীতেও ভারতের শুল্ক নীতির সমালোচনা করে দেশটিকে “শুল্কের রাজা” বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
ভারত অন্যান্য খাতেও শুল্ক কমিয়েছে, যেমন স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড ইনস্টলেশনের শুল্ক শূন্য করা হয়েছে এবং সিনথেটিক ফ্লেভারিং এসেন্সের শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির ফলে ভারতকে আরও বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। যদিও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক এবং মোদি-ট্রাম্পের সুসম্পর্ক কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।