শিরোনাম
বরিশালে ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যাশ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে খুন, দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডহিজলায় জামায়াত ইসলামীর হেয়ালি পনায় অনুপ্রবেশ করছে আওয়ামী লীগ ব্যার্থ হচ্ছে ছাত্র জনতার আত্মত্যাগশ্রমিক দিবসে গৃহকর্মীদের জন্য ন্যায্যতা ও স্বীকৃতির দাবি থেকে আভাস-এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনশিশুদের চোখে নববর্ষ: রঙ, আনন্দ আর শোভাযাত্রার গল্পএর বিচার না হলে মানুষ আস্থা হারাবে বিএনপি থেকেবরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে বিপাকে পুলিশপতাকা গায়ে জড়িয়ে ইমোশনাল মার্কেটিং—বয়কটের মুখে মোজোসোহরাওয়ার্দী অভিমুখে ‘মার্চ ফর গাজা’আওয়ামী লিগ’সহ পাঁচ দলের নামে ইসিতে নিবন্ধন আবেদন

ধর্ষণের পরিসংখ্যান ও সমাজে এর প্রভাব

ধর্ষণের পরিসংখ্যান ও সমাজে এর প্রভাব

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা প্রতিমাসেই শতাধিক ঘটে। তবে, অনেক ভুক্তভোগী সামাজিক লজ্জা ও ভয় থেকে মামলা করেন না, ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

২০২৩ সালের ধর্ষণের পরিসংখ্যান

  • মোট ১,৭০০+ ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
  • ৫০০+ নারী ও শিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
  • ৩০০+ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
  • অসংখ্য ঘটনা মামলা পর্যন্ত যায়নি।

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই

  • ২০৯ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
  • এর মধ্যে ২৯ জন ধর্ষণের ও ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার।

কেন ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্ষণের পেছনে আইনের দুর্বলতা, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও অপরাধীদের মনস্তাত্ত্বিক বিকৃতি দায়ী।

প্রধান কারণসমূহ:

১. আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও বিচারহীনতা

  • অপরাধীরা রাজনৈতিক পরিচয় বা টাকার ক্ষমতায় পার পেয়ে যায়।
  • দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পান না।

২. নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি

  • সমাজে এখনও নারীদের ‘দুর্বল’ ও ‘ভোগের বস্তু’ হিসেবে দেখা হয়।
  • পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা ধর্ষণ প্রবণতাকে উস্কে দেয়।

৩. খোলামেলা পোশাক বিতর্ক – সত্য কি?

  • গবেষণা বলছে, পোশাক ধর্ষণের মূল কারণ নয়।
  • শিশু, বৃদ্ধা এবং সম্পূর্ণ আবৃত নারীরাও ধর্ষণের শিকার হন।

৪. শিশু ও বৃদ্ধাদের ধর্ষণ – অপরাধীদের মানসিক অবস্থা

  • অপরাধীদের মধ্যে বিকৃত যৌন আকাঙ্ক্ষা কাজ করে।
  • পর্নোগ্রাফির আসক্তি অনেক ক্ষেত্রে সহিংস যৌন আচরণ বাড়িয়ে দেয়।

ধর্ষণ প্রতিরোধে কী করা উচিত?

 ১. দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা

  • ধর্ষণের মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।

 ২. ধর্ষকদের পরিচয় প্রকাশ করা

  • জাতীয়ভাবে ধর্ষকদের কালো তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

 ৩. যৌন শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি

  • ছোটবেলা থেকেই ছেলে-মেয়েদের সম্মান ও নারীর অধিকার শেখানো জরুরি।

 ৪. প্রযুক্তির ব্যবহার

  • গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা প্রয়োজন।
  • নারী নির্যাতন প্রতিরোধে হেল্পলাইন ও মোবাইল অ্যাপ চালু করতে হবে।

 ৫. নারীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ

  • স্কুল-কলেজে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা দরকার।

ধর্ষণ শুধু আইনের কঠোরতা দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়, প্রয়োজন সামাজিক পরিবর্তন ও সচেতনতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা, অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং নারীদের নিরাপত্তায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

ক্রাইম জোন ২৪ সবসময় সমাজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে এবং সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর।

 

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button