শিরোনাম

৮ শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা, পুড়ে গেছে প্রধান প্রশাসনিক ভবন

৮ শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা, পুড়ে গেছে প্রধান প্রশাসনিক ভবন

রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় আগুন ধরে যায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত দেশটির প্রধান প্রশাসনিক ভবনে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। আজ রোববার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া ভিরিদেঙ্কো বার্তা যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো সরকারি ভবন শত্রুর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ছাদ ও ওপরের তলাগুলো ধ্বংস হয়েছে। দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানান, সূর্যোদয়ের পর কিয়েভের ঐতিহাসিক পেচেরস্কি এলাকায় অবস্থিত প্রধান সরকারি ভবনের ওপরের তলায় আগুন ধরে যায়। তখন ঘন ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যায়। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর ইউক্রেনে ৮০৫টি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

বিমানবাহিনী আরও জানিয়েছে, এর মধ্যে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ৭৫১টি ড্রোন ও চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই ছিল ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা।

কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো জানান, দিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত দারনিতস্কি জেলায় চারতলা একটি আবাসিক ভবনে হামলা হয়। সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই এলাকায় এক তরুণীও নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতভর হামলায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় আগুন ধরে যায় এবং অন্তত ১৮ জন আহত হন।

এর আগে, কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎস্কো জানান, দারনিতস্কির একটি বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় জরুরি বিভাগ আরও জানায়, দারনিতস্কির আবাসিক ভবনের চার তলার মধ্যে দুই তলায় আগুন ধরে যায়। ভবনটির একটি অংশ ধসে পড়ে।

এদিকে, মস্কো এ হামলা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। দুই পক্ষই সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করছে। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত হাজারো মানুষের প্রাণ গেছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button