ইয়ানিক সিনারের টানা ‘পঞ্চম’


কোর্টের বাইরে তাঁরা ভালো বন্ধু। বলা হচ্ছে ইয়ানিক সিনার ও লরোঞ্জো মুসেত্তির কথা। ডেভিস কাপের ইতালিয়ান দলে তাঁরা সতীর্থও। কিন্তু পেশাদার সার্কিটে মুখোমুখি হলে সেই বন্ধুতার কথা ভুলে যান সিনার। রুদ্ররূপ নিয়ে আবির্ভূত হন কোর্টে। যেমনটা হলেন গতকাল ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে। ৬-১, ৬-৪, ৬-২ গেমে হারিয়ে দিলেন মুসেত্তিকে। হার্ড কোর্টে এটি তাঁর টানা ২৬তম জয়।
এই জয়ে ২৬ বছর বয়সী সিনার উঠে গেলেন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। গ্র্যান্ড স্লামে এটি তাঁর টানা পঞ্চম সেমিফাইনাল। আগের চারটি সেমিফাইনালের তিনটিতেই জিতেছেন। ফ্রেঞ্চ ওপেনে না পারলেও ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিট লড়াই করে কাব্যিক এক ফাইনালের জন্ম দিয়েছিলেন। যাঁর কাছে হেরেছিলেন সেই কার্লোস আলকারাসকেই খুব সম্ভবত ফাইনালে পেতে যাচ্ছেন তিনি। তাঁকে হারিয়েই ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডন জিতেছিলেন আলকারাস।
তবে আপাতত ফাইনাল নয়, তাঁর চোখ ফেলিক্স অগার-অ্যালিয়াসিমের বিপক্ষে সেমিফাইনাল। কানাডিয়ান অ্যালিয়াসিমে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছেন অ্যালেক্স ডি মিনাউরকে।
অ্যানিসিমোভার প্রতিশোধ
উইম্বলডনের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী আমান্ডা অ্যানিসিমোভাকে স্রেফ উড়িয়েই দিয়েছিলেন ইগা শিয়াতেক। পোলিশ এই প্রতিযোগী মেয়েদের ফাইনালে জিতেছিলেন ৬-০, ৬-০ গেমে। প্রতিপক্ষকে ‘ডাবল ব্যাগেল’ পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া সেই অ্যানিসিমোভাই এবার ফ্ল্যাশিং মিডোর কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে দিলেন ৬-৪, ৬-৩ গেমে। কীভাবে সম্ভব? অ্যানিসিমোভার উত্তর, ‘গত রাতে আমি এটা (উইম্বলডনের ফাইনালে ভিডিও) দেখেছি। খুবই কষ্টের ছিল তা। শুধু দেখতে চেয়েছি আমি কী এড়াতে পারতাম, কী ভুল করেছিলাম।’ সেই ভুল থেকে শিখেই এ দিন শিয়াতেকের বিপক্ষে খেলেছেন এবং জিতেছেন অ্যানিসিমোভা।
চার বছর পর ওসাকা
ক্যারিয়ারের ৪টি গ্র্যান্ড স্লামের সবশেষটি নাওমি ওসাকা জিতেছিলেন ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। এরপর তিনি আরও ১২টি গ্র্যান্ড স্লামে খেললেও কোনোটিতেই তৃতীয় রাউন্ডের বাধা উতরাতে পারেননি। সেই ওসাকা চার বছরের মধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে উঠলেন ইউএস ওপেনে। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হারিয়ে দিয়েছেন ক্যারোলিন মুচোভাকে ৬-৪, ৭-৬ (৭/৩) গেমে।
ক্রাইম জোন ২৪