দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তারেক রহমানকে নিতে হবে, ডকুমেন্ট দেখবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কখন দেশে ফিরবেন, সেটা তাঁর ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তবে তারেক রহমানের দেশে ফিরতে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হলে সেটা সরকার সরবরাহ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তাঁকে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ বা প্রক্রিয়া আছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ফিরে আসার বিষয়টি তারেক রহমানের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে যখনই প্রয়োজন হবে, তার ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো আমরা দেখব।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে তারেক রহমান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন কি না, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক রহমানকে প্রথমে দেশে ফেরার ব্যাপারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত সরকারের সময় তারেক রহমান বন্দী অবস্থা থেকে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান। এরপর থেকে তিনি সেখান থেকেই বিএনপির কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতকে যে অনুরোধ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। তিনি জানান, এ বিষয়ে দ্বিতীয় কোনো অনুরোধপত্র পাঠানো হয়নি। তবে বিষয়টি বিভিন্ন ফোরামে দেখা-সাক্ষাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান ইতিবাচক। তবে এখানে দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আসা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধান মিশন ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছে। এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখছে।
পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকের বিষয়ে কেউই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি।
পিটার হাস গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস থেকে অবসরে যাওয়ার পর এক্সিলারেট এনার্জিতে ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। সপ্তাহখানেকের সফরে গত শনিবার তিনি বাংলাদেশে আসেন।
মার্কিন এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ব্যবসা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারে মহেশখালীতে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল পরিচালনা করে।
ক্রাইম জোন ২৪