শিরোনাম
চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণছুটির ঘোষণা পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরাপাহাড়িয়াদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ, বৃক্ষরোপণআজকের নামাজের সময়সূচি: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫বাংলাদেশে আর এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা চলবে না: বিএনপি নেতা এ্যানিবুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ৮১০ করল ডাকসু নির্বাচন কমিশনআমাদের ধর্ম, লিঙ্গ ও জাতিগত বিভাজনের উর্ধ্বে উঠতে হবে: প্রধান বিচারপতিচট্টগ্রামে পদদলিত হয়ে আহত একজন আইসিইউতে, মেলেনি পরিচয়অতিরিক্ত সহিংসতা হলে নির্বাচন ভঙ্গুর হয়ে যাবে: উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদঅযাচিতভাবে ডাকসুর ভোট চাওয়ায় কর্মীকে বহিষ্কার করল ছাত্রদলসেই জামায়াত নেতার কাছে ব্যাখ্যা চাইল চবি প্রশাসন

চট্টগ্রামে পদদলিত হয়ে আহত একজন আইসিইউতে, মেলেনি পরিচয়

চট্টগ্রামে পদদলিত হয়ে আহত একজন আইসিইউতে, মেলেনি পরিচয়

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস সবচেয়ে বড় আয়োজন। চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকায় চারদিক থেকে মানুষ এসেছে হেঁটে ও গাড়িতে চড়ে। কিংবা পিকআপ ও ট্রাকে চড়ে আসে মানুষ। সকাল ৯টার দিকে নগর যেন লোকে-লোকারণ্য। চারদিকে অনেক মানুষ। রোদের তাপও অনেক বেশি। নগরের মুরাদপুর এলাকায় মানুষের ভিড়ে রীতিমতো ত্রাহি অবস্থা। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জশনে জুলুসে আসা লোকদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

শনিবার বিকেলে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি হওয়া হামজারবাগ এলাকার কামাল উদ্দিন (৪৫) বলেন, ‘মানুষের ভিড়ের মধ্যে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। একপর্যায়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাই। মানুষের পায়ের নিচে চাপা পড়ে মরেই যাচ্ছিলাম। এ সময় কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসায় জানে বেঁচে যাই। আল্লাহ পাক রক্ষা করেছেন।’ একই বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন নগরের আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. মাহফুজ। তাঁরও অভিজ্ঞতা ঠিক একই ধরনের।

বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আইয়ুব আলীর লাশের পাশে আহাজারি করা তাঁর ভাগনে বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘মামাসহ আমরা একসঙ্গে জুলুসে এসেছি। ভিড়ের মধ্যে পড়ে আহত মামাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’ জুলুসে অংশ নিতে সকাল সকাল তাঁরা নগরের মুরাদপুর এলাকায় আসেন।

পদদলিত হয়ে মারা যায় কিশোরের নাম সাইফুল ইসলাম (১৩)। তার পরিবার থাকে নগরের কালামিয়া বাজার এলাকায়। হাসপাতালের সামনে সাইফুলের বড় ভাই মো. শফিক বলেন, ‘সাইফুল জুলুসে এসেছেন। জুলুস চলার একপযার্য়ে আমাদের ফোন করে বলা হয় হাসপাতালে আসতে। এসে ভাইয়ের নিথর দেহ দেখতে পাই।’

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জুলুস বের হয় নগরের ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে। এতে লাখো মানুষের ভিড় হয়। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরে এই জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার ছিল ৫৪তম জশনে জুলুস।

জুলুসে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ সোহেল রানা ও এসআই নুরুল আলম আশেক।

তাঁরা জানান, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে বয়স ২৩-২৪-এর আশপাশে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি তাঁর।

এ বিষয়ে আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাস্টের (জুলুস আয়োজক) মিডিয়া টিমের সমন্বয়ক আবু তালেব বলেন, ‘মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন নিচে পড়ে যান। এ সময় পদদলিত হয়েছেন তাঁরা। আহত অবস্থায় ৮-১০ জনকে উদ্ধার করে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।’

একই বিষয়ে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মুখপাত্র মোছাহেব উদ্দিন জানান, দুপুর ১২টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় মানুষের ভিড়ে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button