ঋতুপর্ণাদের দেখানো পথে ভুটান জয়ের মিশন অর্পিতাদের


ভুটানে যেন বাংলাদেশি ফুটবলারদের মেলা বসেছে। গত কয়েক মাসে ১৫ ফুটবলার দেশটির লিগে নাম লিখিয়েছেন ধাপে ধাপে। এবার সেখানে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। থিম্পুর চ্যাংলিমিথান স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় আজ স্বাগতিক ভুটানের মুখোমুখি হবে তারা।
গত মাসে বাংলাদেশে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। অনূর্ধ্ব-১৭ সাফেও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। রাউন্ড রবিন লিগে বাংলাদেশ দুবার করে মুখোমুখি হবে ভুটান, নেপাল ও ভারতের। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দল পাবে শিরোপার মুকুট।
অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে সাফ এর আগে একবারই হয়েছে। দুই বছর আগের সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে টপকে চ্যাম্পিয়ন হয় রাশিয়া। আমন্ত্রিত দল হিসেবে টুর্নামেন্টে অংশ নেয় তারা। এবার অবশ্য তেমন কোনো দলকে রাখেনি সাফ।
ভুটানের ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেতে অবশ্য শুরুতে কষ্ট হয়েছিল মেয়েদের। সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমার মতো সিনিয়র ফুটবলারদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভুটান জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তাঁরা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস শোনালেন সেই কথা, ‘আমাদের এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, চেষ্টা করব প্রত্যেকটা ম্যাচ থেকে শিখতে এবং পরের ম্যাচে সেটা কাজে লাগাতে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ম্যাচটি ভালোভাবে খেলে জেতার। ভুটানে ঋতুপর্ণা আপুরা খেলছেন, তাঁদের দেখে ভালো লাগছে, তাঁরা বাইরের দেশে ভালো করছে। তাঁদের থেকে আমরা শিখছি।’
প্রস্তুতি নিয়ে অর্পিতা বললেন, ‘আমাদের দলটা বেশি দিনের নয়, দেড় মাসের। তো আমাদের সবাই এত দিন কঠিন পরিশ্রম করেছি এবং আমরা চেষ্টা করব ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার এবং ভালো খেলার।’
গত বছর অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সেই দলের বেশির ভাগ ফুটবলারই আছে এবারের দলে। ৫ গোল করে সেবার সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন সৌরভী আকন্দ প্রীতি। তাঁকে নিয়ে আক্রমণভাগের ওপর তাই বেশ আস্থা প্রধান কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুর। নিয়মিত কোচ পিটার বাটলার ছুটিতে থাকায় মেয়েদের দায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে, ‘৯ জন একেবারে নতুন খেলোয়াড়। বাকি সবাই সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের। এর মধ্যে কেউ জাতীয় দলেও খেলেছে। এখানে আমার শক্তির জায়গা হচ্ছে আক্রমণভাগ। এই জায়গায় গতবারের সেটআপ আছে। আশা করি আমাদের মেয়েরা ভালো করবে।’
প্রতিপক্ষ হিসেবে ভুটানকে দুর্বল ভাবার উপায় খুব একটা নেই। তাদের লিগ এখনো চলমান রয়েছে। অথচ বাংলাদেশে লিগ হয় না গত এক বছর। ঘরের মাঠ বলেই স্বাগতিকেরা পাচ্ছে জয়ের আত্মবিশ্বাস, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। ঘরের মাঠে খেলা সব সময় আমাদের দলের জন্য বাড়তি সুবিধার। সেটাকে কাজে লাগিয়ে ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে চাই।’ একই ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে লড়বে ভারত।
ক্রাইম জোন ২৪