নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে দুর্গাপুরে সেতুর ওপর অবৈধ দোকানপাট, দুর্ভোগ চরমে


রাজশাহীর দুর্গাপুরে পদ্মা নদীর শাখা হোজা নদের ওপর নির্মিত সেতুতে অবৈধভাবে বসা দোকানপাট ও যানবাহনের কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পাঁচ মাস আগে প্রশাসন সেতুতে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে সতর্কবার্তা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে দখলদারেরা আগের মতোই তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, একসময় চলাচলের সহজ মাধ্যম হিসেবে তৈরি হওয়া সেতুটি এখন পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইনবোর্ড সাঁটানো হলেও পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুপাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দুপাশে সাইনবোর্ড লাগানো থাকলেও সবজি, পেয়ারা, কলা, ডাব, শরবত, ভাজাপোড়াসহ নানা ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকান সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ির অস্থায়ী স্ট্যান্ড। এতে সেতুর রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে এবং পথচারীদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
একজন শরবত বিক্রেতা মিনারুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর ওপর বেচাকেনা ভালো হয়। মাঝে মাঝে পুলিশ এসে তুলে দিলেও পরে আবার এসে বসি।’
আরেক পথচারী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘সেতুর ওপর ফুটপাত বসার কারণে উপজেলা মোড় থেকে জিয়া চত্বর পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকলে কেউ এই নির্দেশনার তোয়াক্কা করবে না।’
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, ‘উপজেলায় কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। তবে সপ্তাহে দুই হাটের দিন যানজট নিরসনে দুজন পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন জানান, সেতুতে সাইনবোর্ডের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া আছে, তার পরও দোকানপাট ও পার্কিংয়ের বিষয়ে নানা অভিযোগ আসছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং দ্রুত এর সমাধান করা হবে।
ক্রাইম জোন ২৪