যতীন সরকারকে নেত্রকোনা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া


দেশের প্রগতিশীল আন্দোলন ও মননশীল সাহিত্যচর্চার উজ্জ্বল নক্ষত্র অধ্যাপক যতীন সরকারের লাশ আজ বুধবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাতে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
যতীন সরকারের ঘনিষ্ঠজন সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ বিকেল ৫টায় ময়মনসিংহ উদীচীতে যতীন সরকারকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় নেত্রকোনা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাশ রাখা হবে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
যতীন সরকার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা ২টা ৪০ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা ও পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন। গত জুন মাসে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে ময়মনসিংহে মেয়ের বাসায় কিছুদিন থাকার পর পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি আবার ময়মনসিংহে নেওয়া হয় তাঁকে।
১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দপাড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া যতীন সরকার ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন দীর্ঘকাল। ৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর নেওয়ার পর স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে নিজ জেলা নেত্রকোনার সাতপাই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এই মনীষী।
যতীন সরকার দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। লেখক ও চিন্তাবিদ হিসেবে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা অর্জন করেন।
ক্রাইম জোন ২৪