শিরোনাম
মহাসড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ, জামাই-শ্বশুর হত্যায় ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলালক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের ১৫ দিনেও সন্ধান মেলেনি ৪ জেলের, উৎকণ্ঠায় পরিবাররামপুরায় হত্যাযজ্ঞ শেষে ওসি-এসআইদের লাখ টাকা পুরস্কার দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিব, ট্রাইব্যুনালে অভিযোগদেড় শ বছরের পুরোনো পুকুর ভরাট, ইউপি সদস্যসহ ৫ জন কারাগারে৫২ কোটি টাকায় নিউইয়র্কে বিক্রি হলো মঙ্গলগ্রহের পাথর, ভাগ চায় নাইজারওআত্মীয়তা রক্ষা করলে জীবনে যে সুফল বয়ে আসেসৌদি আরব ঘুরতে চান? জেনে নিন জনপ্রিয় ট্রাভেল ভ্লগারের সম্পূর্ণ গাইডবিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি আবারও শুরু হবে: খন্দকার মুক্তাদিরসুযোগ পেলে সবাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবে: এবি পার্টির মঞ্জুবছরে চিকিৎসা সরঞ্জামের চাহিদা বেড়েছে ১৫ শতাংশ

আসামিদের অব্যাহতির আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের নারাজি

আসামিদের অব্যাহতির আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের নারাজি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আবির হত্যা মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে এই নারাজি আবেদন দাখিল করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার।

রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে গত বছরের ১৯ জুলাই আবিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নাহিদ হাসান ও সোহেল রানা নামে আরও দুই শিক্ষার্থীকে সেদিন গুলি করা হয় ও বেধড়ক পেটানো হয়।

এ ঘটনায় নিহত আবিরের বন্ধু হাসান মাহমুদ গত বছরের ১৮ আগস্ট আদালতে মামলার আবেদন করেন। গুলশান এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা তানভীর আলীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই হামলা চালান বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আবেদনটি এজাহার হিসেবে রুজু করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন আদালত। গত ২০ আগস্ট এজাহার রুজু করে গুলশান থানা।

মামলায় তানভীর আলী, জাকির হোসেন বাবুলসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়।

অপর আট আসামি হলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল, গুলশান থানা ছাত্রলীগের নেতা আনিসুর রহমান সুজন, মানিক, সোহাগ, গুলশান থানা শ্রমিক লীগের মহসীন ওরফে কাঁকড়া মহসীন, গুলশান থানা যুবলীগের জামিল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম এবং গুলশান থানা আওয়ামী ওলামা লীগ সহসভাপতি আব্দুল হামিদ।

মামলাটির তদন্ত করেন গুলশান থানার তৎকালীন সাবইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রোমেন মিয়া। তিনি ৬০ দিনের মাথায় তদন্ত শেষে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ জানিয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান আসামি তানভীর আলীকে কানাডার নাগরিক হিসেবে দেখানো হয়। আলামত হিসেবে তাঁর কানাডীয় পাসপোর্টের ফটোকপি আদালতে জমা দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী হাসান মাহমুদ এবং সাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলাটি ‘তথ্যগত ভুল’। মামলায় বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে আসামিদের জড়িত থাকার কোনো তথ্য বা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলার মধ্যে এই মামলায় প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এই প্রথম সব আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশও করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বলেন, ‘স্পর্শকাতর এই মামলায় পুলিশ অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে তদন্ত শেষ করেছে মাত্র ৬০ দিনে। তদন্তে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবীকে জানানো হয়নি। দীর্ঘদিন পর আকস্মিকভাবে সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় গিয়ে বিষয়টি জানার পর নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছে।’


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button