শিরোনাম

নওগাঁ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে পুশইন

নওগাঁ সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে পুশইন

নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শুক্রবার ভোরে পৃথক অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে ধামইরহাট উপজেলার সাতানাপাড়া আমবাগান এলাকায় সীমান্ত পিলার ২৭১ /১-এস থেকে প্রায় ৫০ গজ ভেতরে ১৪ জনকে আটক করে কালুপাড়া বিওপির টহল দল। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় নারী, এক কিশোরী, তিন শিশু ও চার যুবক রয়েছে। তারা খুলনা, নড়াইল, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

জানা গেছে, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন মুম্বাই শহরে বসবাস ও কাজ করছিল। গত ৭ আগস্ট বিমানযোগে পুনে বিমানবন্দর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থানার মাধ্যমে বিএসএফ তাদের সীমান্তে আনে এবং গাড়িযোগে পুশইন করে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাখে।

অন্যদিকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া সীমান্তে মেইন পিলার ২৪৬ /২-এস থেকে প্রায় ৮০০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের জামে মসজিদের পাশে চারজনকে আটক করে বামনপাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা। তাঁরা হলো—নড়াইলের কালিয়া উপজেলার উথলী গ্রামের ইমদাদুলের স্ত্রী মোছা. হেনা খাতুন (৩৮), একই উপজেলার চানপুর গ্রামের বালাম শিকদারের স্ত্রী রূপালী (৩৫), তাদের মেয়ে চাঁদনী (৮) ও ছেলে রমজান (২)।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, এই চারজন চার-পাঁচ বছর ধরে মুম্বাইয়ে বাসাবাড়িতে কাজ করছেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে ‘চেকব্যাক’ প্রক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ছত্রাহাটি বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠায় এবং পরে সীমান্ত গেট দিয়ে ঠেলে দেয়। বর্তমানে তারা সাপাহার থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, ভোরে সাপাহার থানাধীন আইহাই ইউনিয়নের বামনপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ ঢুকলে বিজিবি সদস্যরা চারজনকে আটক করে। বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম জাফর বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি, বিজিবি আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তবে ঘটনার বিষয়ে বিজিবি কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button