শিরোনাম
জুমার খুতবার সময় কি মোবাইল ব্যবহার করা যাবে?কিছুটা সংস্কার আর নাম পরিবর্তন করেই বছর পার‘খাবার আনতে দেরি কেন’, বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে নারীকে কোপালেন ডেলিভারি বয়জুমার আজানের পর যেসব কাজ করা হারামচেনা সবজির অচেনা পদব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটুপানি, বাধাগ্রস্ত স্বাভাবিক কার্যক্রমপাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড পুলিশের তদন্ত, ঘটনা কীভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্ট মাদুরোর গ্রেপ্তারের পুরস্কার বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করল ট্রাম্প প্রশাসনঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহতপর্তুগিজ ক্লাবের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের পর রোনালদো বলছেন, খেলা এখনো বাকি

বেতন থেকে টাকা জমানোর টিপসগুলো মনে রাখুন

বেতন থেকে টাকা জমানোর টিপসগুলো মনে রাখুন

উপার্জন যেটুকু করছেন, কোনোভাবেই সঞ্চয় করা হচ্ছে না। ফলে বিশেষ প্রয়োজনে আর্থিক জোগানও হয়ে পড়েছে অনিরাপদ। এই অবস্থা বিপজ্জনক। চাকরির বেতন যা-ই হোক, সেখান থেকে একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা জরুরি। পরিকল্পনা থাকলে সেটি করা সহজ হয়।

আপনার বেতনের কতটা সঞ্চয় করবেন, তা নির্ধারণ করার ব্যাপারটা চট করে বলা যাবে, তা নয়। এটি নির্ভর করে আপনি মাসিক কত টাকা আয় করেন, জীবনযাত্রা ও জরুরি খাতে কতটা ব্যয় হতে পারে, তার ওপর।

সাধারণত, সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ৫০/৩০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা হয়। যেখানে আয়ের ৫০ শতাংশ আপনার প্রয়োজনের জন্য, ৩০ শতাংশ বিশেষ চাহিদার জন্য এবং ২০ শতাংশ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্য আলাদা করা যেতে পারে। টাকা সঞ্চয় করার পরিকল্পনা থাকলে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে—

সঞ্চয়ের কারণ নির্ধারণ করুন

আপনি কোন কারণে টাকা সঞ্চয় করতে চাইছেন, সে বিষয়ে নিজের ধারণা পরিষ্কার করুন। স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্যের জন্য বেতনের একটি বড় অংশ দ্রুত সঞ্চয় করার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যপূরণে ছোট ছোট অঙ্কের টাকা জমালেও ক্ষতি নেই।

জীবনযাত্রার ব্যয়

আপনার আয়ের কত অংশ সঞ্চয়ের জন্য বেছে নেবেন, তা বোঝার জন্য ব্যয় মূল্যায়ন করুন। প্রথম মাসে জীবনযাত্রায় মাসিক খরচ কত, তা লিখে রাখুন। তা হলে দ্বিতীয় মাস থেকে সঞ্চয় শুরু করা সহজ হবে।

জরুরি তহবিল

হঠাৎ চিকিৎসা, আপ্যায়ন বা অন্যান্য বড় কোনো খাতে যদি টাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটা কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবেন, সেটাও মনে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের টাকার বাইরে এসব খাতে খরচ করার জন্য একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রাখতে হতে পারে।

বেতন থেকে অর্থ সাশ্রয়ের ৬টি উপায়

মাসিক বেতন থেকে অর্থ সঞ্চয় করা কখনো কখনো চ্যালেঞ্জিং মনে হতে পারে; বিশেষ করে যখন তাৎক্ষণিক ব্যয় করাকে আমরা অগ্রাধিকার দিই। তবে সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে, আপনি দক্ষতার সঙ্গে কোন খাতে কত ব্যয় করবেন, তা নির্ধারণ করতে পারবেন। সে অনুপাতে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা সঞ্চয়ও করতে পারবেন। প্রতি মাসেই সঞ্চয় করতে চাইলে ছয়টি উপায় মেনে চলতে পারেন।

বাজেট তৈরি করুন

নির্দিষ্ট বাজেট তৈরি করছেন মানে সঠিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার ভিত্তি স্থাপন করছেন। আপনার আয়ের সব উৎস এবং মাসিক ব্যয় তালিকাভুক্ত করুন। এর মধ্যে বাড়িভাড়ার মতো নির্দিষ্ট ব্যয় এবং বাইরে খাওয়ার মতো পরিবর্তনশীল খরচও অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি আপনাকে টাকা খরচের এমন খাতগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে, যেগুলো থেকে অনায়াসে খরচ কমাতে পারবেন এবং প্রতি মাসে বাস্তবসম্মতভাবে কিছুটা সঞ্চয় করতে পারবেন।

নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমিয়ে ফেলুন

প্রতি মাসে চোখ বন্ধ করে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমিয়ে ফেলুন। এরপর বাকি টাকা থেকে দৈনন্দিন খরচ করতে থাকুন। ধরুন, প্রতি মাসে আপনি দুই হাজার টাকা জমাবেন। এবার এই পরিমাণ টাকা জমানো অব্যাহত রাখুন। বছরের শেষে গিয়ে ঠিকই একটা বড় অঙ্কের টাকা আপনার হাতে থাকবে, যা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে ফেলা যাবে।

কখন কোথায় ব্যয় হচ্ছে, লিখে রাখুন

আপনার অর্জিত আয় রোজ কোন কোন খাতে ব্যয় হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখুন। প্রতিবার কোনো কিছু কেনা বা বিল রেকর্ড করার জন্য বাজেটিং অ্যাপ বা সাধারণ নোটবুক ব্যবহার করুন। এই অভ্যাস অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে।

মাসিক বিল কমান

যে খাতেই হোক, মাসিক বিল কমানোর চেষ্টা করুন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, সেল ফোনসহ সব ধরনের বিল যেন কমে আসে, সেভাবে জীবনযাপন করুন। শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার তো করবেনই, শক্তির অপচয় যেন না হয়, সেদিকে পরিবারের সবারই সতর্ক হতে সচেতন করুন।

ঘরে রান্না করুন, ঘরেই খান

খাবার ডেলিভারি সার্ভিস অ্যাপ থাকায় সুযোগ পেলেই আমরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁর খাবার অর্ডার করতে পারি। তবে বাইরে খাবার না খেয়ে কিংবা বাইরে থেকে খাবার না আনিয়ে ঘরে রান্না করলে খরচ অনেকটাই কমে। সারা দিন বাইরে কাজ করে এসে যাঁদের রান্না করতে ভালো লাগে না, তাঁরা সাপ্তাহিক খাবারের পরিকল্পনা করুন। তারপর সেই পরিকল্পনা অনুসারে তালিকা তৈরি করে কেনাকাটা করুন এবং বেশ কয়েক দিন খাওয়া যাবে এমন পরিমাণে খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিন। এতে কেবল টাকাই বাঁচবে না, স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

গণপরিবহন ব্যবহার করুন

উবার বা পাঠাওয়ে কার, বাইক বা সিএনজি সার্ভিস নেওয়ার পরিবর্তে গণপরিবহন ব্যবহার করলে মাসের খরচ অনেকটাই কমবে। এক মাস যাতায়াত করে দেখুন। যাতায়াত খাত থেকে অনেক টাকা বেঁচে যাবে। তবে হ্যাঁ, সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে চাইলে হয়তো সময় হাতে নিয়েই বাড়ি থেকে বের হতে হবে।

সূত্র: বেটার মানি হ্যাবিটস ও অন্যান্য



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button