‘প্রধান উপদেষ্টাকে সেনা ক্যুর ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখছেন উপদেষ্টারা’


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া আর কোনো উপদেষ্টাকে জনগণ বাংলাদেশের মনে করে না—এমন মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে সেনা অভ্যুত্থানের ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখছেন উপদেষ্টারা। অথচ এই উপদেষ্টাদের জনগণ বিশ্বাস করে না। অনেক উপদেষ্টাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আঁতাত করে বসে আছেন নিজ নিজ স্বার্থে।’
দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন আনতে ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বানও জানান হাদী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জুলাই ঘোষণাপত্রের সমালোচনা করে হাদী বলেন, ‘১৯৪৭ সালের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কোনো উল্লেখ ঘোষণাপত্রে নেই। এ ছাড়া ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের স্বীকৃতি এখানে নেই। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের শাপলা গণহত্যা এবং ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের স্বীকৃতিও ঘোষণাপত্রে নেই।’
জুলাই ঘোষণাপত্রে ইতিহাসের যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বাদ পড়েছে, সেগুলো যুক্ত করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র।
এ সময় সেনা অভ্যুত্থান নিয়েও কথা বলেন হাদী। তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বা অন্য সেনা কর্মকর্তা ক্যু করতে পারবেন না। করলে জনগণ রাস্তায় নামবে, ক্যান্টনমেন্টের ইট খুলে আনবে।’
বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়ে হাদী বলেন, ‘যে দলই ক্ষমতায় আসুক, ’৭২-র সংবিধান বাতিল করতে হবে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া বদলাতে হবে।’