শিশুকে নিয়ে বিমান ভ্রমণের আগে প্রস্তুতি


শিশুদের নিয়ে বিমান ভ্রমণে অনেকে ভয় পান। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা এত কঠিন নয়; বরং সঠিক প্রস্তুতি থাকলে শিশুকে নিয়ে বিমান ভ্রমণ হতে পারে স্মরণীয়।
ফ্লাইটের সময় বাছাই
শিশুর ঘুমের সময় কাজে লাগিয়ে ফ্লাইট বুক করুন। দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট হলে রাতের ফ্লাইট বেছে নিন, যাতে ঘুমিয়ে যেতে সুবিধা হয়। স্বল্প দূরত্বে দিনের মধ্যভাগে যাত্রা সবচেয়ে আরামদায়ক।
আরামদায়ক পোশাক পরান
- শিশুর জন্য আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন। ঢিলেঢালা জামা শিশুদের জন্য উপযুক্ত।
- সামনে বা পেছনের আসন বেছে নিন
- সামনে বা পেছনের দিকে আসন পেলে সহজে ওঠা বা নামা যায়। এ ছাড়া টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।
সঙ্গে রাখুন হালকা খাবার
শিশু একটু বড় হলে তার ক্ষুধা বা বিরক্তি রোধে নিয়মিত হালকা খাবার দেওয়া দরকার। ফল, বেবি বিস্কুট, ছোট চকলেট বার—এসব সঙ্গে রাখুন।
খেলনা বা অন্য কিছু সঙ্গে রাখুন
ছোট বই, রং পেনসিল, ব্লক, ছোট পুতুল, মোড়ানো চমকপ্রদ খেলনা—সব মিলিয়ে ৮-১০টি পছন্দের জিনিস সঙ্গে রাখতে পারেন। তার বিরক্তি রোধ করতে সেগুলো একটার পর একটা হাতে তুলে দিন।
চাদর ও অতিরিক্ত পোশাক সঙ্গে নিন
ফ্লাইটে তাপমাত্রা অনির্ধারিত; কখনো খুব ঠান্ডা আবার কখনো গরম। তাই যাত্রার সময় সঙ্গে চাদর ও একাধিক পোশাক রাখুন। যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী বদলানো সহজ হয়।
দীর্ঘ যাত্রায় বাসিনেট চাইতে ভুলবেন না
দীর্ঘ ফ্লাইটে শিশুদের জন্য বিশেষ ‘বাসিনেট সিট’ (শোয়ানোর ব্যবস্থা) পাওয়া যায়। আগেই এয়ারলাইনসকে জানিয়ে রাখলে সেটি পেয়ে যেতে পারেন।
বেবি ক্যারিয়ার নিন
একেবারে ছোট্ট শিশু হলে বেবি ক্যারিয়ার খুব উপকারী। এয়ারপোর্টে অথবা বাইরেও এটি বেশ কাজে দেবে।
সূত্র: ট্রাভেল মাম