শিরোনাম

হোটেল পাল্টে সৈকতে নামলেন এনসিপির নেতারা, ছিলেন না হাসনাত আবদুল্লাহ

হোটেল পাল্টে সৈকতে নামলেন এনসিপির নেতারা, ছিলেন না হাসনাত আবদুল্লাহ

কক্সবাজারে অবস্থান করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পাঁচ নেতা উখিয়ার ইনানীর সি পার্ল রিসোর্ট ছেড়ে আজ বুধবার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে উঠেছেন। তাঁরা বেলা ২টার দিকে শহরের সাগরপাড়ের একটি হোটেলে ওঠেন।

পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও সারজিসের স্ত্রী হোটেল থেকে বের হন। তাঁরা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর সৈকতে নামেন। তবে সেখানে হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখা যায়নি।

এরপর দরিয়ানগর সৈকতে ফেসবুক লাইভে আসেন সারজিস আলম।

এর আগে দুপুর পৌনে ১টায় এনসিপি নেতারা ইনানীর সি পার্ল রিসোর্ট ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এনসিপির শীর্ষ নেতারা বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে পৌঁছান। পরে সেখানে শালিক রেস্তোরাঁ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে খাবার খান। এ সময় সেখানে এনসিপির কক্সবাজারের স্থানীয় কয়েকজন নেতা উপস্থিতি ছিলেন। খাবার শেষে বেলা ৩টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টসংলগ্ন অভিজাত হোটেল ‘প্রাসাদ প্যারাডাইজে’ ওঠেন।

লাইভে সারজিস আলম দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এনসিপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষের সামনে ২৪ দফার ইশতেহার দেওয়া হয়েছে। এই ২৪ দফার মধ্যে ২১ নম্বরে বলা হয়েছে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং নদী ও সমুদ্র রক্ষার কথা।

কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর সৈকতে নামতে দেখা যায় এনসিপি নেতাদের। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর সৈকতে নামতে দেখা যায় এনসিপি নেতাদের। ছবি: সংগৃহীত

সারজিস আরও বলেন, ‘আমাদের বিশাল সম্ভাবনার জায়গা এই সমুদ্র। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কীভাবে এই সমুদ্রকে, আমাদের বায়ো ডাইভারসিটিকে রক্ষা করতে পারি; সমুদ্রের তীরবর্তী মানুষের টেকসই জীবনধারণ কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমাদের আশঙ্কা অনেক বাড়িঘর সমুদ্রে বিলীন হতে পারে। সে জন্য আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেই জায়গায় সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।’

সমুদ্রকে সম্পদে পরিণত করার তাগিদ দিয়ে সারজিস বলেন, ‘আমরা দেখছি কক্সবাজারের যেখানে-সেখানে ভবন তোলা হচ্ছে। কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। যেখানে-সেখানে জমি দখল করছে। সরকারি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে জমি লিজ নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এই অব্যবস্থাপনা থেকে আমাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে রক্ষা করা প্রয়োজন। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।’

পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে এনসিপির ওই নেতারা আবার হোটেল ‘প্রাসাদ প্যারাডাইজে’ প্রবেশ করেন।

এদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজার অবস্থান করার খবরে গণমাধ্যমকর্মীরা হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজে জড়ো হন। পাশাপাশি এনসিপি নেতাদের শহরে অবস্থান করার খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে অবস্থান নিয়েছেন।

কক্সবাজারের স্থানীয় এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা আজ কক্সবাজার অবস্থান করবেন নাকি ছেড়ে যাবেন, এ ব্যাপারে তাঁরা বলতে পারছেন না।

জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এনসিপি নেতারা কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছেন। কখন ফিরে যাবেন তা জানাননি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে দলের এই পাঁচ নেতার কক্সবাজার ভ্রমণে আসার কারণ জানতে চেয়ে আজ দুপুরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এনসিপি। তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button