রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি, তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা


রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি, তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৪৮
ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরা এলাকায় একটি ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি করার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। গত ৩১ জুলাই এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটি আমরা যাচাই–বাছাই করছি।’
এতে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর ছাড়াও ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় চঞ্চল চন্দ্র গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা একজনকে গুলি করা হয়েছিল। এক শিশুকে গুলি করলে তার মাথার একপাশ দিয়ে লেগে অপরপাশ দিয়ে বের হয়ে তার দাদিও নিহত হয়। এই তিনটি ঘটনায় একটি প্রতিবেদন এসেছে। আমরা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছি। শিগগিরই দাখিল করব।’
জানা যায়, গত বছর আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই আমির হোসেন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছে তখন পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পড়ে যান তিনি। এ সময় পুলিশ গুলি করা শুরু করলে দৌড়ে নির্মাণাধীন একটি ভবনের চারতলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে আমির হোসেনকে পেয়ে বারবার নিচে লাফ দিতে বলেন।
একপর্যায়ে ভয়ে আমির হোসেন লাফ দিয়ে নির্মাণাধীন ভবনটির রড ধরে ঝুলে থাকেন। তখন তৃতীয় তলা থেকে পুলিশ আমির হোসেনের পায়ে ছয়টি গুলি করে। পুলিশ চলে গেলে আমির হোসেন তৃতীয় তলায় পড়ে যান। তখন তার দুই পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল। প্রায় তিনঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।