বারবার বাঁধ ভেঙে ক্ষতি, অনিয়ম-দুর্নীতির খোঁজে পাউবো অফিসে দুদকের অভিযান


ফেনীতে বারবার বাঁধ ভেঙে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলার মানুষ। কোটি কোটি টাকার প্রকল্পের পরও নদীর বাঁধে ভাঙন ও বন্যা দেখা দেয়। বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার সকালে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একটি দল ফেনী পাউবো কার্যালয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে উপসহকারী পরিচালক মো. জাহিদ হোসেনসহ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প, আর্থিক লেনদেন ও নথিপত্র যাচাই করেন।
অভিযানে আসা দুদক কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক তদন্ত শেষে ফুলগাজী ও পরশুরামের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। এরপর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনীর বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারান ২৯ জন, ক্ষতি হয় শত কোটি টাকার। এ বছরও দুই দফা বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ ছিল দায়সারা। প্রকল্পে বরাদ্দ থাকলেও মাঠপর্যায়ে কার্যকর সংস্কার হয়নি। বছরের পর বছর একই জায়গায় বারবার বাঁধ ভাঙার পরও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই ‘ফেনীর নাগরিক সমাজ’ এ বিষয়ে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও এবং পদযাত্রা করে। তাদের দাবি ছিল দায়ীদের শাস্তি, কার্যকর সংস্কার ও দুর্নীতির তদন্ত।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন মহল থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর সরেজমিন পরিদর্শন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’