ইন্টারনেট ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বোনকে গুলি করে হত্যা করেন ভাই: পুলিশ


রাজধানী ঢাকার মিরপুর দারুসসালাম থানাধীন এলাকায় তাহমিনা রহমান রানু (৪২) নামে এক নারীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এলাকার দক্ষিণ বিশিলের ৭ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাহমিনার আপন ভাই স্থানীয় সেচ্চাসেবক লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাবু দক্ষিণ বিশিল এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসা করতেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই ব্যবসা দেখভাল করছিলেন তার বোন তাহমিনা। ওই এলাকায় তাদের ইন্টারনেট কানেকশন থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা আসত। এই টাকার ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই হত্যা করা হতে পারে।
এর আগে বিকেলে পুলিশ ও স্থানীদের সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে তাহমিনা ঘুমিয়ে পড়ার পর রাত দেড়টার দিকে ওই বাসায় যান তার ভাই। তাহমিনাকে ডেকে ঘুম থেকে তুলেন এবং এক পর্যায়ে গুলি করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় থানা-পুলিশ। পরে মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। এদিকে ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানা পুলিশ এবং সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে।
ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিক্যামেরা ফুটেজের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে বাবুসহ তিনজন ব্যক্তিকে তাহমিনার বাসায় ঢুকতে দেখা যায়। কিছু সময় পর তারা বেরিয়ে আসেন।
দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, ‘হত্যার মোটিভ সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। আমরা ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। হত্যার তদন্ত শুরু হয়েছে।’