বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের অবসরের সঙ্গে ‘র’-কে জড়িয়ে প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাল আইএসপিআর


‘বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরের “র” নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, ওই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং এতে যে ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—বিমানবাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা: এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমোডর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপটেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপটেন মোহাম্মদ শামীম এবং উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ—কে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনে উল্লিখিত কর্মকর্তারা কেউই কোনো বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তাঁরা বাহিনীর প্রচলিত বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত চাকরির মেয়াদ শেষে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অবসর গ্রহণ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, একই প্রতিবেদনে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরিকে নিয়েও একই অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই দুই কর্মকর্তার অবসরও হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম মেনে, অন্য প্রেক্ষাপটে এবং কোনো অভিযোগ ছাড়াই।
আইএসপিআর বলছে, এমন বিভ্রান্তিকর ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ শুধু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্মানহানিই করে না; বরং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারত্ব ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।
সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বিমানবাহিনী-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নিশ্চিত হয় এবং জনমনে বিভ্রান্তি না ছড়ায়।