বিআইডব্লিউটিসিতে যোগ হচ্ছে ১৮ নৌযান, জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় থ্রি অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন বিভিন্ন ধরনের ১৮টি নৌযানের নির্মাণকাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী মাসের দিকে এগুলো সংস্থাটিকে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করবে শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার গজারিয়ার নয়ানগরে শিপইয়ার্ডে নৌযানের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, ‘এই শিপইয়ার্ডে আমাদের ১৮টি নৌযানের নির্মাণকাজ চলছে। আমি আজ এসেছিলাম সর্বশেষ কী অবস্থা তা দেখার জন্য। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে নৌযানগুলো ডেলিভারি দেওয়া শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য দেরি হয়ে গেল। নৌযানগুলোর নির্মাণকাজের সামগ্রিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেগুলো ডেলিভারি দেওয়ার কথা।’
এ সময় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন।
যুদ্ধজাহাজের মতো সামরিক জলযান নির্মাণে বাংলাদেশের সক্ষমতা কতখানি, তা জানতে চাওয়া হলে সাখাওয়াত বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না।’
বিআইডব্লিউটিসির নৌযানের বিষয়ে থ্রি অ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নৌযানগুলো হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ছয়টি ফেরি, দুটি ফায়ার ফাইটিং টাগবোট, দুটি কোস্টাল ওয়েল ট্যাংকার, চারটি কোস্টাল সি-ট্রাক, তিনটি মডার্ন ইনল্যান্ড প্যাসেঞ্জার ভেসেল ও একটি ইন্সপেকশন বোট হস্তান্তর করা হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, প্রকল্পপ্রধান ও প্রধান প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হামিদা মুস্তফা প্রমুখ।