পশ্চিমবঙ্গে ৩০ বছর ধরে সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে ‘বাংলাদেশি অপরাধী’


পশ্চিমবঙ্গে ৩০ বছর ধরে সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে ‘বাংলাদেশি অপরাধী’
কলকাতা সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৪১
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের দাবি, আটক ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। ছবি: সংগৃহীত
বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘জলি এলএলবি’-এর দৃশ্যের মতো এক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায়। গত শনিবার (২ আগস্ট) রাতে সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকা এক বাংলাদেশি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সী মোহাম্মদ হাসেম মল্লিক গত ৩০ বছর ধরে নদিয়া জেলায় বসবাস করছিলেন।
মোহাম্মদ হাসেম মল্লিক ওরফে হাসেম আলী মল্লিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) সাবইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আবদুন নূর চৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসটিএফ ও স্থানীয় পুলিশ নদিয়ার তেহট্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসেম মল্লিক স্বীকার করেছেন, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশে তাঁর করা অপরাধের আইনি প্রক্রিয়া থেকে বাঁচতে তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর নিজের পরিচয় গোপন করতে জাল ভারতীয় নথি তৈরি করেন।
আজ সোমবার অভিযুক্ত হাসেম মল্লিককে তেহট্ট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন। তদন্তকারীদের ধারণা, এই ধরনের আরও কিছু বাংলাদেশি অপরাধী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যকে ‘সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল’ বানানোর অভিযোগ তুলেছে।
বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, ‘বাংলা এখন সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। তারা বাংলাকে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কি এই বিষয়ে কিছুই জানত না? তাদের গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? এমন ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চান না। কারণ তিনি তাঁর ভোটব্যাংককে সুরক্ষা দিতে চান।’