শিরোনাম
স্ত্রীর সঙ্গে কলহ, পরে মিলল স্বামীর ঝুলন্ত লাশবগুড়ায় দুই মামলায় আ.লীগের ছয় নেতা-কর্মী ১০ দিনের রিমান্ডেজুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে ঢাকায় যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনাপশ্চিমবঙ্গে ৩০ বছর ধরে সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে ‘বাংলাদেশি অপরাধী’খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন অধ্যাপক রুহুল আমিনটাঙ্গাইলে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গাজীপুর থেকে স্বামীকে গ্রেপ্তার১২২ বছর আগের ‘বোতল বার্তা’ মিলল তাসমানিয়ার বাতিঘরেস্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশপূর্ব সুন্দরবনে ট্রলার-নৌকাসহ ১০ জেলে আটকদারুস সালামে ভাইকে না পেয়ে বোনকে গুলি করে হত্যা

শেখ হাসিনাকে ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ বলতে শুনেছেন সাক্ষী ইমরান

শেখ হাসিনাকে ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ বলতে শুনেছেন সাক্ষী ইমরান

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে শেখ হাসিনা ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পর থেকে আর চিকিৎসা হয়নি। তাঁকে অন্য হাসপাতালেও নিতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা চেয়েছিলেন, পা কেটে কারাগারে নিয়ে যেতে।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র আবদুল্লাহ আল ইমরান। ওই সময় তিনি সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এটি শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় সাক্ষী।

জবানবন্দিতে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর বাঁ হাঁটুর নিচে গুলি লাগে। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২৬ অথবা ২৭ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে পরিদর্শনে যান। শেখ হাসিনা তাঁর কাছে গেলে তিনি ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করেন। ওই সময় শেখ হাসিনা তাঁকে ‘আপা’ বলে ডাকতে বলেন।

ইমরান বলেন, তিনি কোথায় পড়াশোনা করেন, হলে থাকেন কি না, কেন থাকেন না, সে সম্পর্কে শেখ হাসিনা এসব বিষয়ে জানতে চান। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন, তিনি আন্দোলনকারী। এরপর আরও চার-পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় হেল্পডেস্কের কাছে গিয়ে শেখ হাসিনাকে ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ বলতে শুনেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ মানে কী, তখন বুঝতে না পারলেও পরে দেখেন, তাঁর যথাসময়ে অস্ত্রোপচার হচ্ছে না। হাসপাতালের দেওয়া ওষুধে কাজ হচ্ছে না। পায়ে পচন ধরছে। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে চাইলেও পারছেন না। তাঁর বাবা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও নিতে পারছিলেন না। তখন তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর পা কেটে তাঁকে কারাগারে নিতে চেয়েছিলেন তাঁরা।

তাঁর এই পরিস্থিতির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দায়ী করেন। জবানবন্দি শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী তাঁকে জেরা করেন। এ সময় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল-মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গতকাল থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। এই মামলায় সাবেক আইজিপি এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

গত ১ জুন তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওই দিন অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানি জারি করা হয়। তবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ১৬ জুন। বিজ্ঞপ্তি জারির পরও হাজির না হলে ২৪ জুন দুজনের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর সাবেক বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী আমির হোসেনকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button