ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে নাশকতার আশঙ্কা, জনসাধারণের সহযোগিতা চাইল রেল কর্তৃপক্ষ


বাংলাদেশ রেলপথে সাম্প্রতিক কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটানোর প্রচেষ্টা স্পষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। আজ সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে নাটোর জেলার মাধনগর এলাকায় রেললাইনে শিকল পেঁচিয়ে তালা দিয়ে রাখা হয় যাতে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। তবে রেলের একজন স্থানীয় কি-ম্যান তা দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে শিকল অপসারণ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
রেল কর্তৃপক্ষের ধারণা, এটি একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনার অংশ এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে শুধুমাত্র রেলওয়ে বা সরকারের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া যথেষ্ট নয় বলেও মত দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য প্রয়োজন সর্বসাধারণের সচেতনতা ও সক্রিয় সহযোগিতা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রেললাইন বা আশপাশে কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি, বস্তু বা কর্মকাণ্ড দেখা গেলে রেল কর্তৃপক্ষ অথবা স্থানীয় প্রশাসনকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের হটলাইন নম্বর ১৩১ এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে তথ্য দেওয়া যাবে। তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।