শিরোনাম

পাপ মোচনের কার্যকর উপায়—নেক কাজ ও তওবা

পাপ মোচনের কার্যকর উপায়—নেক কাজ ও তওবা

পার্থিব জীবনে সবাই ভুলভ্রান্তির শিকার হয়। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ নানা ধরনের গুনাহও করে ফেলে। এ থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য আল্লাহ তাআলা তওবার দরজা খোলা রেখেছেন।

কেউ গোনাহ করে ফেললে তাই অনতিবিলম্বে তওবা করা উচিত। পাশাপাশি অধিকহারে নেক কাজেও মনোনিবেশ করতে হবে। কারণ নেক কাজের মাধ্যমে গোনাহ মাফ হওয়ার বিষয়টি কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় পুণ্যরাজি পাপরাশি মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এটা তাদের জন্য এক উপদেশ।’ (সুরা হুদ: ১১৪)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়েমেনের দিকে যাত্রা শুরু করার সময় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিবেদন করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে কিছু অসিয়ত করুন।’ তিনি বললেন, ‘যদি তোমার দ্বারা কোনো পাপকাজ সংঘটিত হয়ে যায়, তবে নেক কাজ করে নিয়ো এবং তোমার চরিত্রকে পবিত্র রেখো।’ (সহিহুত তারগিব: ৩১৫৮)

হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন—‘তুমি যেখানেই থাকো, আল্লাহকে ভয় করো। মন্দ কাজের পরপরই ভালো কাজ করে নিয়ো, এতে মন্দ দূরীভূত হয়ে যাবে।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৮৭)

হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘তোমরা পূর্ববর্তী পাপ থেকে মুক্তি পেতে নেক কাজের সহায়তা নাও। কেননা পূর্ববর্তী পাপ মোচনে এর চেয়ে কার্যকর আর কিছুই পাবে না।’ (তফসিরে ইবনে আবি হাতেম: ৮ / ২৭৯)

নেক কাজের দ্বারা পাপরাশি তখনই মাফ হবে, যখন তা সগিরা গুনাহ হবে। যদি কবিরা গুনাহ হয়, তাহলে অবশ্যই এর জন্য তওবা করতে হবে। আর অপরাধটা যদি কোনো মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রথমে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তারপর আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় বান্দার অধিকার সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ক্ষমা করা হবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদের গুনাহমুক্ত জীবন দান করুন।

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button