মাদারগঞ্জের এসআইয়ের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য


জামালপুরের মাদারগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদুল হাসানের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আজ রোববার (৩ আগস্ট) অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জামালপুর পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম সারোয়ার তাঁর কার্যালয়ে অভিযোগকারীর সাক্ষ্য নেন।
অভিযোগকারী কাফিউল মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে। তিনি বর্তমানে ইসলামপুর পৌর শহরের দক্ষিণ দরিয়াবাদ এলাকায় বসবাস করছেন।
কাফিউল গত ৯ জুলাই আইনগত প্রতিকার চেয়ে জামালপুরের এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। কাফিউলের অভিযোগ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদুল মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁর প্রতিপক্ষ সানাউল্লাহর পক্ষে আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন অভিযুক্ত এসআই জাহিদুল হাসান। তাঁর দাবি, তিনি তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
গত ২৭ জুলাই অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাক্ষ্য দিতে নোটিশ দেওয়া হয় অভিযোগকারী কাফিউলকে।
সাক্ষ্য শেষে অভিযোগকারী কাফিউল বলেন, ‘আজ বেলা ১১টা থেকে শুরু করে বেলা ২টা পর্যন্ত অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁর কার্যালয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আমি লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছি। আশা রাখি, আইনগত প্রতিকার পাব।’
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘এসআই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ করেছি। তদন্ত শেষে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’