গণ-অভ্যুত্থানে অবদান রাখায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে সম্মাননা দেবে যুবদল


গত বছররে জুলাই-আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত গণ-অভ্যুত্থানে অসামান্য অবদান রাখায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে সম্মাননা দেবে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
আগামীকাল সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীতে অনুষ্ঠেয় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তাঁদের সম্মাননা দেওয়া হবে।
আজ রোববার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
মুন্না বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে একটি প্রত্যয় গড়ে উঠেছে। এই সময় যুবদলের ৭৮ জন নেতা-কর্মী শহীদ হন এবং অনেকেই আহত বা পঙ্গুত্ব বরণ করেন। শহীদ পরিবারগুলোর হাতে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী এবং আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।
এ ছাড়া দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব এবং সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানে দিকনির্দেশনার জন্য তারেক রহমানকেও সম্মানিত করা হবে। একইভাবে, আওয়ামী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে বেগবান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পাবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদেশে অবস্থান করে আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠনে অবদান রাখা যুবদলের ১২ জন প্রবাসী নেতাকেও সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ে অবদান রাখা ৬ জন প্রয়াত যুবদল নেতাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হবে।

আন্দোলন চলাকালীন মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া মহানগর ও জেলা ইউনিটের সভাপতি, আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক, সদস্য সচিবসহ স্বাক্ষর-ক্ষমতাসম্পন্ন দায়িত্বপ্রাপ্তদের সবাইকেই সম্মাননা দেওয়া হবে। যুবদল মনে করে, আন্দোলনের প্রতিটি স্তরে থাকা এই নেতাদের সম্মানিত করা নৈতিক দায়বদ্ধতার অংশ।
এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের স্মারক হিসেবে রাজধানীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে—শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, উত্তরা, মিরপুর ১০ এবং মোহাম্মদপুর—গ্রাফিতি আঁকার মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এসব গ্রাফিতি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
যুবদল আগামী প্রজন্মের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা ছড়িয়ে দিতে ‘আমার না বলা কথা’ অনুষ্ঠানে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, যেখানে অংশ নিচ্ছে রাজধানীর ১০টি আর্ট স্কুলের প্রায় ১ হাজার ৫০০ শিশু-কিশোর। সেরা ৫০ জনকে কৃতিত্বের সনদ ও উপহারসামগ্রী দেওয়া হবে এবং বাকিদের সনদ ও সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠান সফল করতে ইতিমধ্যে যুবদল ছয়টি উপ-কমিটি গঠন করেছে—ব্যবস্থাপনা, অভ্যর্থনা, শৃঙ্খলা, মিডিয়া, আপ্যায়ন ও স্বাস্থ্য।