শিরোনাম
ওভালে হঠাৎ হাজির রোহিতের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল জয়সওয়ালেরশেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে, ন্যায়বিচার চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেলগণ-অভ্যুত্থানে অবদান রাখায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলকে সম্মাননা দেবে যুবদলট্রাম্পের হুমকিতেও রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত, বাধা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিবাড়ছে নেতা-কর্মীদের ভিড়, যানচলাচল সীমিতগঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় এক সাংবাদিক গ্রেপ্তারভারতের বিপক্ষে ১২৩ বছরের রেকর্ড কি ভাঙতে পারবে ইংল্যান্ডইউক্রেনে ফের রাশিয়ার ড্রোন হামলা, ধ্বংস জ্বালানি ডিপোএনভিডিয়ার পর ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁল মাইক্রোসফটট্রাম্পের শুল্কে কে-বিউটির বাজারে আগুন

প্রতিভা খুঁজতে বদলে যাচ্ছে দেশের তৃণমূল কোচিং

প্রতিভা খুঁজতে বদলে যাচ্ছে দেশের তৃণমূল কোচিং

সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁর প্রথম লক্ষ্য হলো, দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়া। আর ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের প্রথম শর্ত, দেশব্যাপী ভালো মানের কোচিং ছড়িয়ে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে বিসিবি এখন জোর দিয়েছে গেম এডুকেশনে।

বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুলবুল বলেছিলেন, ‘১০৪ জন কোচ রয়েছেন। তাঁরা জেলাভিত্তিক কোচিং করেছেন। বিভাগীয় কোচিং করেন। তাঁরা যদি ডেভেলপ করেন বা তাঁদের আপগ্রেড করতে পারি, তাহলে দেশের ক্রিকেট আপনাআপনি আপগ্রেড হয়ে যাবে।’ বুলবুলের তাগিদে গত এক মাসে নিয়মিত কোচিং কর্মশালার আয়োজন করেছে বিসিবি। কাল থেকে গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে তিন দিনের লেভেল ‘এ’ কোচিং কোর্স। কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২৮ জন কোচ। প্রোগ্রামে ট্রেনার হিসেবে কাজ করছেন সোহেল ইসলাম, দিপু রায় চৌধুরী, ওয়াহিদুল গণি ও মেহরাব হোসেন অপি।

ছুটিতে মেলবোর্নে যাওয়ার আগে গত সপ্তাহে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচদের জন্য আমরা কি আগে কিছু করেছি? লিগ শুরুর আগে তাদের ক্রীড়া বিভাগের প্রধান বা কোচদের লেভেল “এ” কোচিং প্রশিক্ষণ করিয়ে দিচ্ছি, যেখানে সঠিক বিষয়টা শিখতে পারবে।’

বছরের পর বছর বিদেশি কোচদের ওপর বেশি আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বার্ষিক বাজেটের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যয় হয় বিদেশি কোচের পেছনে। এখন জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বেতন দেয় বিসিবি। অথচ উপমহাদেশের প্রায় সব ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের স্থানীয় কোচের ওপর বেশি ভরসা করে। স্থানীয় কোচদের উন্নতি না করলে সহজে বদলাবে না দেশের ক্রিকেটের চিত্র। বেশি বেশি প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনতে এবং সারা দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষতা বাড়িয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্থানীয় কোচদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে চায় বোর্ড। এই লক্ষ্যে সভাপতির সরাসরি তত্ত্বাবধানে স্থানীয় কোচদের জন্য একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করছে বিসিবি।

গত ১৫ বছরে বিসিবির লেভেল ‘এ’ কোচিং কোর্সে ৩৯০ জন কোচ সনদ পেয়েছেন। লেভেল ওয়ান কোর্স করেছেন ৩৪০ জন, লেভেল টু করেছেন ১৬০ জন এবং লেভেল থ্রি কোর্স শেষ করেছেন ২০ জন কোচ। চলতি বছর লেভেল ‘এ’ ছাড়াও লেভেল ওয়ান থেকে থ্রি পর্যন্ত অন্তত চারটি কোর্স আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় কোচদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বছরব্যাপী তিন দিনের কিছু ‘ফ্রেশার’ কোর্স চালু রাখবে বিসিবি। বিসিবির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির কোনো দলে দায়িত্ব পেতে হলে যেকোনো পর্যায়ের কোচ ও ট্রেনারদের জন্য লেভেল ওয়ান কোর্স বাধ্যতামূলক।

কোচদের প্রশিক্ষণ নিয়ে গেম ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের হেড অব অপারেশনস হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘এখন অনেক ক্রিকেটার খেলা শেষ করে কোচিংয়ে আসতে চাইছেন। আগে এই প্রবণতা এতটা ছিল না। এখন অনেকে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার শেষে কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। লেভেল ওয়ান কোর্সের জন্য প্রচুর সিভি জমা পড়েছে। এমনকি যারা এখনো খেলছেন বা শিগগির অবসরে যাবেন, তাঁরাও কোচিংয়ে আসতে আগ্রহী। আমরা যদি মানসম্পন্ন কোচ তৈরি করতে পারি, তাহলে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে তাঁদের চাহিদা তৈরি হবে।’

সুমন মনে করেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের মেরুদণ্ড শক্ত করতে স্থানীয় কোচদের প্রতিভা অন্বেষণে পরিবর্তন আনা জরুরি। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘জেলা পর্যায়ের কোচরা আগে যে পদ্ধতিতে ক্রিকেটার বাছাই করতেন, এখন সেটিতে আরও পেশাদারি আনতে হবে। তাই বিসিবি তাঁদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button