জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে চায় ‘কালচারাল ফ্রন্ট’


জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের লড়াই ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ইসফেন্দিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তনে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া লেখক, শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের স্মৃতি-আড্ডা-আলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে ভোটাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নানা তৎপরতা জুলাই আন্দোলনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
সালাহ উদ্দিন শুভ্রর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।
মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী লেখক ও সাংস্কৃতিক পরিসরের বিপরীতে আমাদের গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাসী লেখক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা দেখেছি সুশীল সমাজের অনেকের সহযোগিতায় শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করেছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি তাহলে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি সেই রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ করতে পারব না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন—লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক দীপায়ন খিসা, কবি ফেরদৌস আরা রুমী, অ্যাক্টিভিস্ট বাকী বিল্লাহ, মশিউল আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম (আদিব), অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল মজিদ অন্তর, সাংবাদিক পলিয়ার ও ওয়াহিদ, মাসুদ জাকারিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘রোড টু জুলাই’ শিরোনামে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিকদের উদ্যোগে ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।