শিরোনাম
উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৩ নেতারাজধানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫ভবিষ্যৎ সরকারকে ‘জুলাই সনদ’ মেনেই চলতে হবে: জামায়াতরাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক সেনা কর্মকর্তা, তদন্তে আদালত গঠন: আইএসপিআর‘তাকে কয়েক মিনিটের জনপ্রিয়তা উপভোগ করতে দাও’, অভিযোগের জবাবে বললেন বিজয়অনাহারে ৯০ শিশুর মৃত্যুর পর গাজা সফরে যাচ্ছেন মার্কিন দূতপাল্টা শুল্ক প্রতিযোগীদের সমান এটাই স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতিভারত ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি পরা দর্শক ঢুকতে না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে গুলশানে চাঁদাবাজি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা জানে আলম গ্রেপ্তারএকদিনে এনবিআরের ৪৯ কর্মকর্তাকে বদলি

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে জামায়াত

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবে জামায়াত

জুলাই সনদের বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপি বলছে, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কিন্তু আমরা মনে করি, কেবল প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করলে হবে না। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টার মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সেজন্য আমরা কমিশন এবং সরকারের বিরুদ্ধে কমপেনসেট মামলা করব।’ আইনগত ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে জামায়াত স্বাক্ষর করবে না বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২৩ দিনের সংলাপের দুপুরের বিরতিতে এসব কথা বলেন তাহের।

সংলাপে সময় ব্যয় ও কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে জামায়তের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা এত কষ্ট করলাম, আপনারা কাভার করলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে এসবের কোনো মূল্য থাকবে না। বাস্তবায়ন না হলে শপথ করারও কোনো মূল্য থাকে না। তাই বাস্তবায়নটাই মুখ্য।’

তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া এই চার্টার জিরো হবে। আমরা পরিষ্কার বলেছি, আইনগত ভিত্তি ছাড়া সই করব না। এই সরকারের মেয়াদেই এটি কার্যকর করতে হবে। কাল থেকেই এটা সম্ভব।’

তাহের বলেন, ‘আজ আমরা যে সংখ্যক ‘‘নোট অব ডিসেন্ট’’ দেখেছি, তা আগের ২২ দিনে দেখিনি। তবুও এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। একজন ‘‘না’’ বলতেই পারেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষে থাকলে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পায়।’

তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়া এখনই সম্ভব। অলটারনেটিভ আছে, উদাহরণ আছে। যারা বলছেন এটা এখন দেওয়া যাবে না, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।’

তাহের বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করছি….আমরা আইনগত ভিত্তি চাই। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টারে স্বাক্ষর করার অর্থ নেই। এমন সনদে সই করার আর না করার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না।’

তাহের বলেন, ‘আইনি ভিত্তি না দিলে যদি (পরবর্তী) সরকার বাস্তবায়নের পথে না এগোয়, তাহলে আমরা এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে অসমাপ্ত মনে করব। সই করার পর যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এটা এক ধরনের প্রহসন। সুতরাং আমরা সরকার ও কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি….তারা যেন নিজেদের ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করে।’

হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির সঙ্গে আর কোনো তামাশা হতে দেব না।’

জামায়াতের নায়েব আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘লোয়ার হাউস অব ইয়ার এবং আপার হাউস অব পিয়ার…এটা কেন চাই তা আমরা আগেও ব্যাখ্যা করেছি। গত ৫৪ বছরের নির্বাচনী পদ্ধতিতে বাংলাদেশে দলীয়করণ, দখল, দূষণ, ভুয়া নির্বাচন, ভোটারবিহীন ঘোষণা ও রাতের নির্বাচনসহ নানা অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ফলে আমরা মনে করি, এখন সারা বিশ্বে প্রায় ৯০টি দেশে যেভাবে পিয়ার পদ্ধতি আছে, বাংলাদেশেও তা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘পিয়ার পদ্ধতি এখন আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া….প্রতিটি মহাদেশেই আছে। গরিব-ধনী বা কালো-সাদার ভেদে নয়, এটি একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। এমনকি অনেক দেশ প্রতি বছর নতুনভাবে এই পদ্ধতি গ্রহণ করছে।’

তাহের আরও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলেছি…..আমরা পিয়ার চাই এবং অধিকাংশ দলও পিয়ারের পক্ষে। কমিশন বিরতির পর সিদ্ধান্ত দেবে বলেছে। আমরা আশা করি, তা ইতিবাচক হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের মত নয়…উচ্চকক্ষ হলো একটা ‘‘ব্যালেন্স অব অথরিটি’’। মূল আইন প্রণয়ন হবে নিম্নকক্ষে, আর উচ্চকক্ষ হবে গাইডিং ও কন্ট্রোলিং বডি।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button