শিরোনাম
উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৩ নেতারাজধানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৫ভবিষ্যৎ সরকারকে ‘জুলাই সনদ’ মেনেই চলতে হবে: জামায়াতরাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক সেনা কর্মকর্তা, তদন্তে আদালত গঠন: আইএসপিআর‘তাকে কয়েক মিনিটের জনপ্রিয়তা উপভোগ করতে দাও’, অভিযোগের জবাবে বললেন বিজয়অনাহারে ৯০ শিশুর মৃত্যুর পর গাজা সফরে যাচ্ছেন মার্কিন দূতপাল্টা শুল্ক প্রতিযোগীদের সমান এটাই স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতিভারত ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি পরা দর্শক ঢুকতে না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে গুলশানে চাঁদাবাজি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা জানে আলম গ্রেপ্তারএকদিনে এনবিআরের ৪৯ কর্মকর্তাকে বদলি

পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২৩তম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির পরে এ সিদ্ধান্ত জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ায় ও ভিন্নমত থাকায় উচ্চকক্ষে সদস্য নির্বাচন কীভাবে হবে, বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়। সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে কমিশন এ সিদ্ধান্ত জানায়।

কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে অর্থবিল ছাড়া অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে সেটিকে উচ্চকক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।

নিম্নকক্ষে প্রস্তাবিত বিলসমূহ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে, তবে উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। আর যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সেই সংশোধনসমূহ আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে উচ্চকক্ষের প্রার্থীও ঘোষণা করতে হবে। উচ্চকক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে ১০ শতাংশ নারী প্রার্থী রাখার কথা বলা রয়েছে।

বিএনপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২-দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী জোট পিআর পদ্ধতি হলে উচ্চকক্ষ চায় না বলে দুপুরের বিরতির আগে জানানো হয়। দুপুরে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি ও উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বিএনপিসহ কয়েকটি দল ও জোট। এ কথা লিখিত থাকলে আমরা সই করতে চাই না।’

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় সিপিবি, বাসদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও আমজনতার দল উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করে। নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা না থাকায় উচ্চকক্ষ চায় না তারা।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button