কাফকোর সঙ্গে কেজিডিসিএলের গ্যাস বিক্রি চুক্তি সই

চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরকারের গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সঙ্গে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) মধ্যে একটি গ্যাস বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী কেজিডিসিএল কাফকোকে গড়ে দৈনিক ৫ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে।

আজ বুধবার রাজধানীর কাওরানবাজারে অবস্থিত পেট্রোবাংলার দপ্তরে এই চুক্তি সই অনুষ্ঠান হয়।

কেজিডিসিএলের পক্ষে কোম্পানির সচিব কবির উদ্দিন আহম্মদ এবং কাফকোর পক্ষে সিসিও ও কোম্পানি সচিব খাজা সাইদুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

গত ১৭ জুন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। কাফকো থেকে এই সার কিনতে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ২৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৮৩.২৫ মার্কিন ডলার। কাফকোর মালিকানার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে ৪৯ শতাংশ। বাকি ৫১ শতাংশের মধ্যে রয়েছে নরওয়ে, জাপান ও নেদারল্যান্ডসের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলের শেষ দিকে কাফকো চুক্তি হয়। কারখানাটি উৎপাদনে আসে ১৯৯৫ সালে। তখন এই কারখানার সব ইউরিয়া সার বিদেশে রপ্তানি হতো। তবে বেশ কয়েক বছর হলো কাফকোর সার দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশনের মাধ্যমে দেশে বিক্রি করা হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, কেজিডিসিএল-এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এস এম মঈন উদ্দীন আহম্মেদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, বিসিআইসি চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান এবং কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, কাফকো এবং পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি সই শেষে কাফকোর পক্ষে শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান কেজিডিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এস এম মঈন উদ্দীন আহম্মেদের কাছে বকেয়া গ্যাস বিল বাবদ ৯২৩ কোটি ৮১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৬ টাকা এবং ডিমান্ড চার্জ বাবদ ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪৮ টাকার দুটি চেক হস্তান্তর করেন। একই সময় কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান এর নিকট বকেয়া বাবদ ৬৩৪ কোটি ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৬৫ টাকার চেক হস্তান্তর করবেন।