শিরোনাম

তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনকালে গ্রামবাসীর ধাওয়া, দুই ড্রেজারে আগুন

তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনকালে গ্রামবাসীর ধাওয়া, দুই ড্রেজারে আগুন

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে চরাঞ্চলের তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনকালে গ্রামবাসী ধাওয়া দিয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা দুটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের কালীর চর গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকালে একই স্থানে গ্রাম ঘেঁষে বালু উত্তোলনের অপরাধে দুই ড্রেজার শ্রমিককে আটক করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম হাসানুর রহমান আটক ড্রেজার শ্রমিক আব্দুর রহমান ও মো. জাকিরকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।

জানা যায়, সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের ভাষাণচর মৌজায় মেঘনা নদীতে বালুমহাল ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ১১ কোটি টাকায় ওই মহালের ইজারা পেয়েছেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির। সম্প্রতি ওই মহাল থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন ইজারাদার।

গ্রামবাসীর দাবি, ভাষাণচর বালুমহালের ইজারাদারের লোকজন কয়েকদিন ধরে কালীর চর গ্রাম ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছিলেন। এতে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতভিটায় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে মহালে ছুটে যায়। গ্রামবাসীর বাধার মুখে ২৫-৩০টি ড্রেজার সরিয়ে নেয় ইজারাদারের লোকেরা। এ সময় দুটি ড্রেজারে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

কালীর চর গ্রামের বাসিন্দা খলিল মিজি (৬৫) বলেন, ‘বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে ভাষাণচর মৌজায়। আর তারা আমাদের কালীর চর গ্রাম ঘেঁষে বালু তুলছে। এখানে নদীর তীরে আমাদের তিন ফসিল জমি রয়েছে।’

ভাষাণচর বালুমহালের ইজারাদার জিএস মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমরা বৈধ মহাল ইজারা নিয়েছি। আমরা নির্ধারিত স্থানেই বালু উত্তোলন করছি।’

সদরের চরআব্দুল্লাহ নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, ‘আমরা আজ সকালে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। তাদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনিয়ম হলে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম হাসানুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আজ বালুমহালে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় দুজনকে আটক করা হয় এবং পরে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আদায়ের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও কেউ আইন অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button