জুলাই-২৪ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা


শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ‘জুলাই-২৪ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। বিগত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সঁপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে। গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছ। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।’
আজ বুধবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১-এ ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের ‘ওরিয়েন্টেশন-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল, আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের মাঝে বিভাজন তৈরি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদের আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে, তা তোমরা নির্ধারণ করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে।’
রফিকুল আবরার বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। অংশীদারদের সঙ্গে বসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নীতিনির্ধারণ করতে হবে, পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে, সহনশীলতা ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে। নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে নিজেদের মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে, যা গবেষণার কাজকে আরও ত্বরান্বিত করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য দেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম মাহবুব-ই-ইলাহী।