ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের এক বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। ২৯ জুলাই, মঙ্গলবার ঢাকায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ এবং শামসুল আলম লিটন। এ ছাড়া ছিলেন ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের ডিন অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, শিক্ষার্থী আহনাফ ফাতেহ হোসেন ও মাসফিয়া রহমান রুহি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউনিভার্সিটির প্রোভোস্ট চ্যান জো জিম।
আলোচনার শুরুতে জুলাই গণঅভ্যূত্থান এবং সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধস্তের ঘঠনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘তরুণরা আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করলেও, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের হাতে, তারা কতটা তা পালন করেছে—এখন সেটাই বড় প্রশ্ন। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
শামসুল আলম লিটন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন প্রতিরোধ করতে জানে। গণতন্ত্র, সমতা, ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে তারা আবারও রাস্তায় নামবে।’
অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পরিবর্তনের পথে যাত্রা শুরু করেছে। এই পথ কতটা দীর্ঘ হবে, সেটাই দেখার বিষয়।’
অধ্যাপক বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, ‘নৈতিকতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছাড়া বড় কোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের সেই লক্ষ্য অর্জনে সব বাধা মোকাবিলা করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভোস্ট চ্যান জো জিম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের স্বপ্ন ও দেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিশ্বাস হারালে চলবে না। এই ত্যাগ ভুলে না গিয়ে সবাইকে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’
আলোচনা সভা শেষে চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যূত্থানকে কেন্দ্র করে একটি চিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।