শিরোনাম

আলতা-পরা পায়ে স্কুলের পথে ফেরত

আলতা-পরা পায়ে স্কুলের পথে ফেরত

Ajker Patrika

বাল্যবিবাহ বন্ধ: আলতা-পরা পায়ে স্কুলের পথে ফেরত

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৭: ০৯

Photo

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নে বাল্যবিয়ের খবরে অভিযান চালায় ইউএনও। ছবি: আজকের পত্রিকা

পায়ের পাতায় আলতা, হাতে মেহেদি, চোখে লাজুক স্বপ্ন। অথচ স্কুলব্যাগ ছুঁয়ে থাকা বয়সেই জীবনের সবচেয়ে বড় দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল মেয়েটিকে। ১৪ বছর বয়সে তাকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত ছিল তার পরিবার। ঠিক সেই মুহূর্তে বিয়েবাড়িতে হাজির ইউএনও। থেমে যায় বাল্যবিবাহ, জরিমানাসহ মেয়ের বাবার নেওয়া হয় মুচলেকা।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এক পরিবার স্কুলপড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী কন্যাকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে তার বাড়িতে ছুটে আসেন ইউএনও রুবেল রানা। এ সময় ভয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।

পরে ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় মেয়ের বাবাসহ সবাইকে বিয়েবাড়িতে ডেকে আনা হয়। এ সময় মেয়ের বাবা বাল্যবিবাহের আয়োজন করার কথা স্বীকার করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের বাবার ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়।

ইউএনও রুবেল রানা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়। মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবার কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে, মেয়েকে পড়াবেন ও ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button