শিরোনাম
‘চাঁদাবাজদের’ কথিত তালিকা নিয়ে রাজশাহীতে তোলপাড়স্বৈরাচার রুখতেই সংলাপে অংশ নিচ্ছি: সালাহউদ্দীন আহমেদগাজায় ‘টোকিও-বার্লিন দখলের মার্কিন কৌশল’ নিচ্ছে ইসরায়েলপণ্য ডেলিভারির জন্য মেট্রোরেল ব্যবহার করবে চীনের রোবট১ আগস্ট ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে উত্তরাঞ্চলের ৩ জেলামাদারীপুরে কারাবন্দী বীর মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেনবাগেরহাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র, মাদকসহ আটক ৮অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সান্ত্বনার জয়টুকু পাবে তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকালীগঞ্জে ‘বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা’ থেকে ১৫৫টি অবৈধ ঘর উচ্ছেদফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেজে উঠল ফায়ার অ্যালার্ম, সংলাপ সাময়িক স্থগিত

মতলবে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মতলবে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দিনরাত এসব কিশোর ধারালো অস্ত্র নিয়ে দলবেঁধে বেপরোয়াভাবে রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করে। মারামারি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত, মাদকসেবন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে তারা। এ পরিস্থিতিতে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন এবং এলাকাবাসী আতঙ্কিত। মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায়ও কিশোর গ্যাংয়ের বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়নের লুধুয়া রসুলপুর ব্রিজের ওপর, চান্দ্রাকান্দি বেড়িবাঁধ, মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র, সুগন্ধী, এখলাছপুর বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় দলবল নিয়ে উচ্ছৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যা। এমনকি মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে মোটরসাইকেল রেখে আড্ডা দিতে দেখা যায় তাদের।

সম্প্রতি উপজেলার বেলতলী এলাকায় মোফাজ্জল হোসেন নামের একজন পথচারী রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ানোর কথা বলতেই তাকে তেড়ে মারতে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে লোকজন এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গত এক মাসে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মারধরে কয়েকজন আহত হয়েছে। এদের ভয়ে থানায় অভিযোগ করার সাহস পায়নি ভুক্তভোগীরা।  

বাগানবাড়ি ইউনিয়নের কালির বাজারের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য এসে চাঁদা দাবি করেছে। চাঁদা না দিতে চাওয়ায় হাতে থাকা হেলমেট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে সে। একটু দূরেই দাঁড়িয়ে নজর রাখছিল কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা।’ আশপাশের অন্য ব্যবসায়ীরাও এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান।  

উপজেলার হরিণা এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘এলাকায় ইদানীং চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মোবাইল চুরি হচ্ছে বেশি। দিনের বেলায়ও বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। আমাদের প্রতি মুহূর্তে চোর ও কিশোর গ্যাংয়ের আতঙ্কে থাকতে হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান বলেন, ‘আন্দোলন-পরবর্তীকালে কিছু কিশোরের ভেতর একটা হিরোইজম তৈরি হয়েছে। তারা নিজেদের একটি গ্রুপ তৈরি করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরও শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ‘গত শুক্রবার ও শনিবার রাতে কিশোর অপরাধী সন্দেহে ২০ জনকে আটক করেছি।’ কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button