নিহত ১১, আহত ৫০, ভারতের সেই মাঠ থেকে সরে যেতে পারে বিশ্বকাপ


এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গত ৪ জুন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএলের শিরোপা উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১১ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করে কোর্ট। এবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বড় ইভেন্ট আয়োজনে ‘অসুরক্ষিত’ বলছে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে বড় ইভেন্ট আয়োজনের জন্য অসুরক্ষিত বলে অভিহিত করেছে বিচার বিভাগীয় কমিশন। কর্নাটক মন্ত্রিসভা সম্প্রতি এই রিপোর্ট অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এই মাঠে এ বছর নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৬ আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে বেশ সংশয় দেখা দিয়েছে।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেডিয়ামের নকশা ও কাঠামো প্রাকৃতিকভাবেই বড় ভিড় সামলানোর জন্য অনুপযুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। কমিশন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, এখানে বড় ইভেন্ট আয়োজন অব্যাহত থাকলে জননিরাপত্তা চরম হুমকিতে পড়বে।
স্টেডিয়ামটিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, জরুরি সাড়া দেওয়া ও যান চলাচল ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি রয়েছে। ভবিষ্যতের উচ্চ ভিড় সমৃদ্ধ ইভেন্টগুলো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুযায়ী নির্মিত ভেন্যুতে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে অনেক। স্টেডিয়াম নির্মিত হয় ১৯৭৪ সালে। পর্যাপ্ত লাইন ও অপেক্ষমাণ এলাকা নেই, যা ব্যস্ত রাস্তাগুলো থেকে আলাদা। প্রবেশ ও প্রস্থান গেট প্রয়োজনের তুলনায় কম। গণপরিবহনের সঙ্গে সংযোগ দুর্বল, ফলে যাতায়াতে সমস্যা। জরুরি পরিস্থিতিতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই, যা আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে। পার্কিং ও পিক-ড্রপ জোন অপ্রতুল, বড় ম্যাচে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে আরসিবি, কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট ও বেঙ্গালুরু পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০১৫ নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ও একটি সেমিফাইনালসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খেলা আয়োজনের কথা রয়েছে। একই ভেন্যুতে নারী প্রিমিয়ার লিগ ও ২০২৬ আইপিএল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেগুলো নিয়ে সংশয় রয়েছে। সরিয়ে নেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা, যাঁদের মধ্যে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার ও দুই আইপিএস অফিসার রয়েছেন। একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অবহেলা ও হত্যার অভিযোগ।