নান্দাইলে লাথি মেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, যুবক আটক


ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় লাথি মেরে জেবিন আক্তার (৩০) নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁর স্বামীকে আটক করেছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জেবিন আক্তার শেরপুর ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে। তিনি একই ইউনিয়নের সংগ্রামখেলী গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার স্ত্রী। পুলিশ দুলালকে আটক করেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের সংগ্রামখেলী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে দুলালের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে জেবিন আক্তারের বিয়ে হয়। দুই পরিবারের মধ্যে সংসার ভালো কাটছিল। তাঁদের দুটি সন্তান হয়েছে। এর মধ্যে দুলাল মিয়া বিদেশে চলে যান। বিদেশ থেকে আসার পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। স্ত্রী জেবিন আক্তার মনে করেন, দুলাল মিয়া অন্যত্র বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তাঁদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত সালিস করেও বিষয়টির মীমাংসা হয়নি।
এদিকে শনিবার দুপুরে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দুলাল মিয়া বিদেশে যেতে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। খবর পেয়ে স্ত্রী জেবিন আক্তার তাঁর দুই সন্তান নিয়ে গফরগাঁও থেকে স্বামী দুলাল মিয়াকে কৌশলে বাড়িতে নিয়ে আসতে রাজি করান। এরপর অটোরিকশায় করে নান্দাইলে আসার পথে নান্দাইল-গফরগাঁও সড়কের বনগ্রাম চৌরাস্তা এলাকায় স্ত্রীকে চলন্ত অটো থেকে লাথি মেরে সড়কে ফেলে দেন। এতে জেবিন আক্তার মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
থানায় কথায় হয় স্বামী দুলাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বউ সন্দেহ করে আমি অন্যত্র বিয়ে করেছি। আজ (শনিবার) আমি বিদেশ চলে যাচ্ছিলাম। পরে তারা গফরগাঁও থেকে আমাকে নিয়ে আসে। বউ চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। আমি লাথি মারিনি।’
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাথি মেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে দুলালকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’