অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০ করেও লাভ হচ্ছে না উইন্ডিজের


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০ করেও লাভ হচ্ছে না উইন্ডিজের
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০: ৪৮
স্কোরবোর্ডে ২০০-এর বেশি রান করে আজও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: ক্রিকইনফো
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় এখন যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ‘সোনার হরিণ’। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তো উইন্ডিজকে নাজেহাল করেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার পছন্দের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেরে উঠছে না অজিদের সঙ্গে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি সিরিজে ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়রা সাত ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
জ্যামাইকায় সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ২০০-এর কম রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই দুই ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হেসেখেলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ভেন্যু বদলে সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডেও উঠছে লড়াই করার মতো রান। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ২০০-এর বেশি স্কোর করেও জেতা হয়নি ম্যাচ। যেখানে আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অজিরা এখন এগিয়ে ৪-০ ব্যবধানে।
সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। যেখানে শেষ ওভার যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল হোসেন করতে আসেন, তখন পড়ছিল বৃষ্টি। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে অজিদের সামনে ৬ বলে ২ রানের সমীকরণ। অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে উইকেটে তখন টেলএন্ডার শন অ্যাবট। প্রথম বলে অ্যাবট সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকপ্রান্তে পাঠান ক্যামেরন গ্রিনকে। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে গ্রিন উড়লেন শূন্যে। এই এক রান তখন না নিতে পারলে অজিদের জয়টা যা একটু বিলম্বিত হতো। তবে অজি অলরাউন্ডার দেরি না করে চার বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছেন।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর ম্যাচসেরা হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি। ফিল্ডিংয়ে ধরেছেন দুই ক্যাচ। সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসে পরশু পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায় শুরু হবে এই ম্যাচ।
২০৬ রানের লক্ষ্যে নেমে শূন্য রানেই ভেঙে যায় অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মিচেল মার্শকে ফেরান জেদিয়া ব্লেডস। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩৫ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ম্যাক্সওয়েল ও জস ইংলিশ। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ইংলিশকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রোমারিও শেফার্ড। ৩০ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন ইংলিশ। অন্যদিকে ম্যাক্সওয়েল চালিয়ে যান তাঁর স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। তৃতীয় উইকেটে ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে ২৪ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ম্যাক্সওয়েল।
১১তম ওভারের প্রথম বলে বিধ্বংসী ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আকিল। ১৮ বলে ৪৭ রান করা ম্যাক্সওয়েল ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ১০.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৯ রান। চার নম্বরে নামা গ্রিন একপ্রান্ত দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছেন সতীর্থদের আসা-যাওয়া। জিততে যখন ৩ রান বাকি, তখন হ্যাভিয়ের বার্টলেট রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন। তখন উইন্ডিজের সামান্যতম যে আশা তৈরি হয়েছিল, সেটুকু শেষ করে দেন গ্রিন। ৩৫ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্লেডস নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে খরচ করেন ২৯ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আকিল, শেফার্ড ও জেসন হোল্ডার।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১৯.২ ওভারে ৯ উইকেটে ২০৩ রান। তখনই মুষলধারে নামে বৃষ্টি। ৪৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয় খেলা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০৫ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শারফেন রাদারফোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ৩ উইকেট নিলেও খরুচে বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে খরচ করেন ৫৪ রান। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন বার্টলেট, অ্যাবট ও অ্যারন হার্ডি।